ফরিদ আহমেদ : [২] সাতক্ষীরায় ঢিলে-ঢালাভাবে পালিত হচ্ছে এক সপ্তাহের লকডাউন। সকাল থেকে বিধি-নিষেদের মধ্যে থাকা কিছু-কিছু দোকান-পাট খুলতে দেখা গেছে। অবাধে চলাচল করতে দেখা গেছে নসিমন-করিমন-ভটভটি-ইজিবাইকসহ সকল বৈধ-অবৈধ যানবাহন। কাচা বাজারগুলোতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ স্বাস্থ্যবিধি মানছেন অধিকাংশ ক্রেতা বিক্রেতা। জেলায় করোনা সংক্রমণ কমাতে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার তাগিদ স্থানীয়দের।
[৩] সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, শহরের হাসপাতাল মোড়, নিউ মার্কেটসহ প্রধান-প্রধান এলাকাগুলোতে সকাল থেকেই অবাঁধে চলছে ইজিবাই-মাহেন্দ্র-নসিমনসহ বিভিন্ন প্রকার বৈধ-অবৈধ যানবাহন। এমনকি সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কে বাস চলাচল করতে দেখা গেছে। সুলতানপুর বড় বাজার-মিলবাজার-টাউন বাজারসহ বিভিন্ন কাচাবাজারে উপছে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। সামাজিক দুরত্ব মান্যের বালাই ছিলনা অধিকাংশ ক্রেতা-বিক্রেতার। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে পুলিশী তৎপরতা বেড়েছে। মোড়ে-মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়ে যান চলাচলে বাঁঘা দেওয়া হচ্ছে।
[৪] ভোমরা স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সকাল ৮টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত চলমান রয়েছে। বন্ধ রয়েছে অধিকাংশ দোকান-পাট। ভারতীয় ট্রাক চালকগণ যাতে অবাঁধে চলাফেরা না করতে পারে, সেজন্য প্রশাসনের কঠোর নজরদারি রয়েছে। এদিকে, ৫ জুন তারিখে ১৮৮ জনের করোনা পরীক্ষা হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন ৮৮ জন। আক্রান্তের হার ৪৭ শতাংশ। এর আগের দিন আক্রান্তের হার ছিল ৫২ শতাংশ। করোনা সংক্রমণ রোধে প্রশাসনকে আরও সক্রিয় হওয়ার আহবান জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
[৫] এ বিষয়ে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, অন্যান্য জেলার সাথে সাতক্ষীরা সীমান্তে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। অন্য জেলা থেকে যাতে কেউ ঢুকতে না পারে অথবা কোন যানবাহন ঢুকাতে না পারে, সেজন্য পুলিশী তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। লকডাউন সফল করতে চলমান রয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম। জনবহুল স্থানে মোবাইল কোর্টের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ১৮টি টিম নির্ধারণ করা হয়েছে।
[৬] এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল জানান, ৭টি উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারি কমিশনারদের (ভূমি) নেতৃত্বে ১৪টি এবং জেলায় ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে ৪টি মোবাইল কোর্টের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। সাতক্ষীরায় করোনা সংক্রমণ অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় ৪টা জুন মধ্যরাত থেকে ১১ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত জেলাব্যাপী লকডাউন ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। সম্পাদনা: সাদেক আলী
আপনার মতামত লিখুন :