শাহীন খন্দকার: [২] মৃত ৩৪ জনের মধ্যে পুরুষ ২০ আর নারী ১৪ জন। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৯, চট্টগ্রামে ৬, রাজশাহীতে ৫, খুলনায় ৫, বরিশালে ১, সিলেটে ৩ রংপুরে ৫ জন মারা গেছেন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ২৮ জন আর বেসরকারি হাসপাতালে ৩ জন এবং বাসায় মারা গেছে ৩ জন।
[৩] মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরে ঊর্ধ্বে ১৯ জন, ৫১-৬০ বছরের মধ্যে ৬ জন, ৪১-৫০ বছরের মধ্যে ৫ জন, ৩১-৪০ বছরের নিচে ২ জন, ২১-৩০ বছরের মধ্যে ১ জন, শূন্য থেকে ১০ বছরের নিচে ১ জন রয়েছেন।
[৪] শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা প্রেরিত করোনা বিষয়ক বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। রাজধানীসহ সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৭২৩ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ্য হয়েছেন ৭ লাখ ৪৭,৭৫৮ জন।
[৫] সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫০৯টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৩১টি, জিন এক্সপার্ট ৪৪টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ৩৩৪টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৮ হাজার ৪৫৯টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৮ হাজার ১৫১ টি। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৬০ লাখ ২১ হাজার ১৪৫টি।
[৬] বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৪২ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৫৬ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
[৭] গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৮৬০ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৫৩০ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন এক লাখ ৩৮ হাজার ২১৭ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ১ লাখ ১৭ হাজার ৮৫০ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ২০ হাজার ৩৬৭ জন। এর আগে গত ৭ এপ্রিল দেশে একদিনে করোনা শনাক্ত হয় ৭ হাজার ৬২৬ জন। যা দেশে একদিনে করোনা শনাক্তে সর্বোচ্চ রেকর্ড।
[৮] স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম রোগীর মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে। সম্পাদনা: মেহেদী হাসান
আপনার মতামত লিখুন :