খোন্দকার মেহেদী আকরাম: ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্ট বা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট একটি অতিসংক্রামক ভ্যারিয়েন্ট। যুক্তরাজ্যের এক গবেষণায় দেখা যায় যে এই নতুন ভ্যারিয়েন্টটি ইউকের আল্ফা ভ্যারিয়েন্টের চেয়েও প্রায় ৪০-৫০ শতাংশ দ্রুত গতিতে ছড়ায়। প্রতিযোগিতায় এই ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্ট অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টকে পেছনে ফেলে প্রধান ভ্যারিয়েন্টে পরিনত হয়।
যুক্তরাজ্যে সাম্প্রতিক নতুন কোভিড রোগী শনাক্তের ৬৭-৭৬ শতাংশ সংক্রমণই হচ্ছে এই ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্ট দিয়ে। আইইডিসিআর এর তথ্য মতে, বাংলাদেশেও এখন নতুন ভ্যারিয়েন্টের ৮০ শতাংশই ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্ট। ধারণা করা যায় দেশেও এই ভ্যারিয়েন্ট এখন অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টকে পেছনে ফেলে প্রধান ভ্যারিয়েন্টে পরিনত হচ্ছে।
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট দিয়ে সংক্রমণ ছড়িয়ে পরলে মহামারী যে কি ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে তা আমরা দেখেছি ভারত এবং নেপালে। যুক্তরাজ্যও এখন রয়েছে খুব সতর্ক অবস্থায়। বাংলাদেশকেও আরো অনেক সর্তক হতে হবে।
কারণ, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের দুটো পূর্ণডোজের কার্যকারীতা কমে গেছে ৮০ থেকে ৬০ শতাংশে। আর এক ডোজে এর কার্যকারীতা মাত্র ৩৩ শতাংশ। সুতরাং, ভ্যাকসিনের এক ডোজ এই ভ্যারিয়েন্টেকে সংক্রমণ রোধ করতে পারে না।
বাংলাদেশকেও এখন এই ভ্যারিয়েন্টের বিস্তার রোধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিতে হবে। লোক সমাগম বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা, যেসব অঞ্চলে ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পরেছে কন্টেইনমেন্টের মাধ্যমে সেসব অঞ্চলকে দেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকে পৃথক করে ফেলতে হবে। টিকা কর্মসূচি ত্বরান্বিত করতে হবে। এবং সর্বোপরি সবাইকে অবশ্যই মাস্ক পরিধানসহ সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
লেখক: খোন্দকার মেহেদী আকরাম, সিনিয়র রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট, শেফিল্ড ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাজ্য।
আপনার মতামত লিখুন :