মশিউর রহমান:[২] পিরোজপুরের নাজিরপুরে ৭ মাসের আন্তঃসত্বা ফারজানা আক্তার (২১) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু নিয়ে রহস্য সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে নাজিরপুরের ৩ নং দেউলবাড়ী ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড সোনাপুর নামক গ্রামে ফারজানার শ্বশুরবাড়ী মোশারেফ হোসেন মোল্লার বসত ঘরে এ ঘটনা ঘটেছে।
[৩] পারিবারিক কলহের জের ধরে সে আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করছে মেয়ের শ্বশুর। এবং বলে আমার ছেলে ও পুত্র বধু দুজনে একই বিছানায় ঘুমিয়ে ছিলেন কিছুক্ষন পরে আমার ছেলে তার স্ত্রীকে দেখতে না পেয়ে রুম থেকে বের হয়ে দেখে সে ঘরের আড়ার সাথে ওর্ণা দিয়ে ঝুলে আছে।
[৪] নিহতের বাবার বলেন আমার জামাইর ও মেয়ের সাথে দীর্ঘ দিন পর্যন্ত খুটি নাটি ঝগড়া ঝাটি ছিল। এক পর্যায়ে তাকে বলেছে তোকে আমি ডিবোর্স দিয়ে দিব। তবে আমার ধারণা আমার মেয়েকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
[৫] মেয়ের বড় ভগ্নিপতি বলেন লাশের বুকের উপরে আঘাঁত রয়েছে এবং তাহার পায়ে কাঁদা রয়েছে, তারা যদি একই বিছানায় ঘুমিয়ে থাকে তা হলে কিভাবে তাহার পায়ে কাঁদা থাকে এবং বুকে আঘাঁত থাকে। বিষয়টি কোন ভাবেই আত্মহত্যা নয়। এটি পরিকল্পনা করে তাকে হত্যা করে ঝুঁলিয়ে রাখা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী আত্মগোপনে রয়েছেন। সে যদি হত্যা নাই করে থাকে তা হলে সে কেন পালিয়ে থাকবে।
[৬] নাজিরপুর থানার কর্তব্যরত ডিউটি অফিসার দেলোয়ার হোসেন (এস আই) বলেন এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে মামলার বাদী মোশারেফ হোসেন মোল্লা।সম্পাদনা:অনন্যা আফরিন