বাশার নূরু: [২]১৯৭২ সালের ৩০ জুন দেশের প্রথম বাজেট পেশ করেছিলেন তাজউদ্দীন আহমেদ। [৩] এবার বাজেটের আকার হতে পারে ৬ লাখ কোটি টাকার উপরে। চলতি ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের বাজেট ছিল ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার। আর স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বাজেট অর্থাৎ ১৯৭২-৭৩ সালে বাজেটের আকার ছিল মাত্র ৭৮৬ কোটি টাকা।
[৪] আগামীকাল ২ জুন শুরু হয়ে ৩ জুলাইয়ের মধ্যে শেষ হতে পারে বাজেট অধিবেশন। তবে সবকিছু নির্ভর করছে কার্যউপদেষ্টা কমিটির সিদ্ধান্তের ওপর। একাদশ জাতীয় সংসদের ত্রয়োদশ অধিবেশন (বাজেট) শুরু ২ জুন বিকেল ৫ টায়।
[৫]আগামী ৩০ জুন বুধবার পাস হতে পারে এবারের বাজেট। আর ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে ২০২১-২০২২ অর্থবছর। এবারও বিরতি দিয়ে বাজেট অধিবেশন চলবে। সবমিলিয়ে ১০ থেকে ১৩ কার্য দিবস চলতে পারে অধিবেশন। আগামী ৩ জুন বাজেট উত্থাপনের পর ৪ ও ৫ জুন শুক্র, শনিবার সাপ্তাহিক বন্ধ এরপর ৬ জুন সকাল ১১ টায় অধিবেশন বসবে। সেদিন ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের সম্পূরক বাজেট উত্থাপন এবং আলোচনা শুরু হবে। সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনা শেষে ৭ জুন সম্পূরক বাজেট পাস হবে। এরপর বিরতী দিয়ে আবার প্রস্তাবিত ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের ওপর আলোচনা করবেন সংসদ সদস্যগণ। প্রতিদিন সকাল ১১ টায় শুরু হয়ে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত চলবে বাজেট অধিবেশন। করোনা পরিস্থিতির কারণে এবারও কোভিড টেস্টের নেগেটিভ সনদ নিয়ে ঢুকতে হবে সংসদ সদস্য, মন্ত্রী, সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। প্রতি ৭২ ঘণ্টা পর পুনরায় নেগেটিভ সনদ মিললেই কেবল অধিবেশনে যোগদান করতে পারবেন সংসদ সদস্যগণ। যারা ভ্যাকসিন নিয়েছেন তাদেরও লাগবে কোভিড নেগেটিভ সনদ। প্রতিদিন ১১০ থেকে ১২০ জন সংসদ সদস্যকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিরাপদ দূরত্বে বসে চলবে সংসদ অধিবেশন। সেক্ষেত্রে কারো কারো বসার সিট পরিবর্তনও হতে পারে। যেদিন যে সংসদ সদস্যের নাম তালিকায় থাকবে শুধু ওই দিনই সংসদ অধিবেশনে যোগ দিতে পারবেন ওই সংসদ সদস্য।
আপনার মতামত লিখুন :