শাহীন খন্দকার: [২] রোববার করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও পরিচালক (সংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম। তিনি আরও বলেন, ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে পড়া ব্ল্যাক ফাঙ্গাস (কালো ছত্রাক) যেন কোনোভাবেই দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করতে না পারে, সেজন্য সতর্ক নজর রাখছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
[৩] বাংলাদেশ এ বিষয়ে কী ভাবছে জানতে চাইলে ভার্চুয়াল বিফ্রিংয়ে মুখপাত্র আরও বলেন, আমরা সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই, এ বিষয়টি নিয়ে কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি যেটি আছে তারা নিজেরা আলাপ-আলোচনা করেছেন। তারাই একটি পরামর্শ চূড়ান্ত করবেন।
[৪] মুখপাত্র নাজমুল ইসলাম বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের চিকিৎসা কেমন হবে, ব্যবস্থাপনা কেমন হবে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট গাইড লাইন আমরা দেবো। তিনি আরও বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত করোনার নয়টি ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট পেয়েছি একেবারে নিশ্চিত। জিনোম-সিকোয়েন্সিং চলছে। আমরা মনে করি, রিপোর্ট হাতে এলে সংখ্যাটি বেড়ে যাবে।
[৫] তিনি বলেন, ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমণ করার সক্ষমতা অনেক বেশি। কাজেই সাধারণ কোভিড-১৯ এ আমরা যে প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়েছি, হাত ধোয়া, হ্যান্ড স্যানিটাইজ করা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলা এই কাজগুলো আমাদের আরও জোরদ্বার করতে হবে। দেশের প্রতিটি নাগরিককে আরও বেশি করে মনে করিয়ে দিতে হবে।
[৬] এক প্রশ্নের জবাবে নাজমুল ইসলাম বলেন, এই মুহূর্তে মিক্সড ভ্যাকসিন প্রয়োগের বিষয়ে আপাতত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আরও বলেন, একটি কোম্পানির ভ্যাকসিন নিয়ে দ্বিতীয় ডোজ অন্য কোম্পানির নেওয়ার বিষয়েও কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।
আপনার মতামত লিখুন :