তোফায়েল আহমেদ: আজ উত্তরায় বারডেম এর একটি সিস্টার অর্গানাইজেশনে মেডিকেল সেবার জন্য গেলাম। সেখানে সেবা পেতে আমার কোন অসুবিধা হয়নি। টেস্ট এবং চিকিৎসকের সেবা সবই ঠিমত পেয়েছি। একটি হাসপাতাল সেবা বহির্ভূত বিষয় দীর্ঘদিন ধরে দেখে আসছি। সেটি নিয়ে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। প্রতিদিন এই মেডিকেল সেন্টারের সামনে বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানীর অসংখ্য প্রতিনিধি এ সেন্টারে আসা মাসুষদের উত্যক্ত করে। রোগী সেন্টার থেকে বের হবার সাথে সাথে তারা প্রেসক্রিপশান দেখা ও মোবাইল ফোনে প্রেসক্রিপশানের ছবি তোলার জন্য পাগল হয়ে পড়ে।
দ্বিতীয বিষয়: আজ (২২/০৫/২০২১) যেটি দেখলাম তা এক ভিন্ন চিত্র। কোন একটি ঔষধ কোম্পানীর একজন প্রতিনিধি নানা কার্টুন ভর্তি খাবারের প্যাকেট নিয়ে সেন্টারে ঢুকে সেন্টারের ডাক্তার ও নানা পর্যায়ের কর্মিদের নানা কক্ষ ও টেবিলে তা বিতরণ করতে থাকে। তবে একটি সম্মানজনক ব্যতিক্রম দেখে এবং তরুণ দু’জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের দৃঢতা দেখে মুগ্ধ হলাম। দু’জন চিকিৎসকই এ কোম্পানীর প্রতিনিধিকে তাদের কক্ষে ঢুকতে দেননি এবং তাদের খাবারের প্যাকেটও গ্রহণ করেননি। আমি ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধি ও ঐ দুই ডাক্তারের সহকারি এবং একজন ডাক্তারের সাথে কথা বললাম। কোম্পানীর প্রতিনিধির মধ্যে কোন ভয়-ভীতি রাখঢাক ছিল না। কোম্পানীর নামটি অকপটে বলল। ডাক্তারের সহকারিরা বললেন, এই ম্যাডামরা ঔষধ কোম্পানীর কোন অর্থ-উপঢৌকন গ্রহণ করেন না। একজন ম্যাডামকে জিজ্ঞেস করলে তিনি মাস্কের ভিতরে শুধু একটু হাসলেন। বেশী কিছু বলতে চাইলেন না। যা বললেন বা বললেন না, তা হলো-নিজে বেঁচে থাকার চেস্টা করি, কিন্তু সিস্টেমে কিছু করতে পারি না।
লেখাটি লেখকের ফেসবুক থেকে নেওয়া।