স্পোর্টস ডেস্ক : [২] ম্যারাডোনার মৃত্যু স্বাভাবিক ছিল না বলে সন্দেহ করেছেন অনেকে। অবশেষে হত্যার অভিযোগে ম্যারাডোনার ব্যক্তিগত চিকিৎসকসহ মোট ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
[৩] ছিয়াশি বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি গত বছরের ২৫ নভেম্বর মারা যান। সে সময় প্রতিবেদনে ৬০ বছর বয়সী ম্যারাডোনার মৃত্যুও কারণ হিসেবে দেখানো হয় ঘুমের মধ্যে হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাওয়া। কিন্তু সেটি কী কারণে হয়েছে, তা নিয়ে বিতর্ক ম্যারাডোনার মৃত্যুর পর থেকেই চলছে।
[৪] আর্জেন্টিনার সান ইসিদরোর অফিসের প্রসিকিউটর আদালতের প্রতি আর্জি জানিয়েছেন, অধিকতর তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্ত এই সাতজনের ওপর যেন দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তাহলে আর্জেন্টিনার আইন অনুসারে অভিযুক্তরা ৮ বছর থেকে সর্বোচ্চ ২৫ বছরের কারাদণ্ডে দন্ডিত হবেন।
[৫] অভিযুক্তদের মধ্যে আছেন ম্যারাডোনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ৩৯ বছর বয়সী লিওপোলদো লুক ও তার সাইকিয়াট্রিস্ট অগাস্তিনা কোসাচভ। অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তারা। চিকিৎসক ও ম্যারাডোনার সহকারীদের মধ্যে কথাবার্তার একটি অডিও গণমাধ্যমে ফাঁস হয়েছে। তাতেও মৃত্যুর আগে ম্যারাডোনার উপযুক্ত চিকিৎসা না হওয়ার ইঙ্গিত মিলেছে।
[৬] ম্যারাডোনার পরিবার আগে থেকেই বিচার দাবি করে আসছে এবং তারা চিকিৎসক লুককে দায়ী বলে মনে করেন। অভিযুক্তদের মধ্যে আরও আছেন-দুজন নার্স, একজন নার্স কোঅর্ডিনেটর, আরেক জন চিকিৎসক ও একজন সাইকোলজিস্ট। - ইন্ডিয়ান এক্সপেস/ ঢাকাটাইমস
আপনার মতামত লিখুন :