জবি প্রতিনিধি : [২] ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা ও নিরীহ মানুষের উপর বর্বরোচিত হামলার ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শুরু থেকেই ফিলিস্তিনিদের পাশে ছিল বাংলাদেশ। ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি বাংলাদেশের বিভিন্ন স্তরের মানুষ ফিলিস্তিনিদের সহায়তা করার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে । এরই ধারাবাহিকতায় ফিলিস্তিন দূতাবাসে প্রয়োজনীয় ঔষুধ ও অর্থ সহায়তা পৌঁছে দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
[৩] একদিনব্যাপী উদ্যোগ শেষে বৃহস্পতিবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ফিলিস্তিন দূতাবাসে প্রায় ১৭ হাজার টাকা মূল্যের ঔষধ ও আর্থিক সহায়তা বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূতের কাছে তুলে দিয়েছে।
[৪] জানা যায়, গত ১৭ই মে ইসরায়েলের নৃশংসতার শিকার ফিলিস্তিনিদের জন্য গণঅনুদান আহ্বান করে ঢাকায় অবস্থিত দেশটির দূতাবাস। যেখানে মোবাইল ভিত্তিক অর্থ লেনদেনের পাশাপাশি সরাসরি বারিধারায় দূতাবাসে গিয়েও অনুদান জমা দেয়ার সুযোগ ছিল।
[৫] দূতাবাসের এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে ১৮ই মে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের শিক্ষার্থী নওশীন নাওয়ার জয়া তার কিছু সহপাঠী ও পারিবারিক প্রচেষ্টায় দূতাবাসে ঔষুধ ও আর্থিক সহায়তা পৌঁছে দেন। এই উদ্যোগে অনুপ্রাণিত হয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরাও বিষয়টি 'ফিলিস্তিনের জন্য জবিয়ানদের উপহার' শিরোনামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে এবং ফান্ড কালেকশন করার উদ্যোগ নেয়।
[৬] ১৯শে মে থেকে শুরু হওয়া এই ফান্ড কালেকশন চলে ২০শে মে (বৃহস্পতিবার) সকাল ৮টা পর্যন্ত। একদিনব্যাপী এই উদ্যোগে মোট সংগ্রহ হয় প্রায় ১৯,৫০০ টাকা। যার মধ্যে প্রায় ১৭ হাজার টাকা মূল্যের ঔষুধ দূতাবাসে পৌঁছে দেন শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি ফিলিস্তিন দূতাবাস প্রদানকৃত নগদ নাম্বারেও পাঠানো হয়েছে আর্থিক সাহায্য।
[৭] মানবিক উদ্যোগের ব্যাপারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের শিক্ষার্থী নওশীন নাওয়ার জয়া বলেন, ফিলিস্তিনের আহত মানুষদের সহায়তা করার বিষয়টি ছিল ব্যাক্তিগত উদ্যোগ। প্রথমে বিষয়টি পরিবার, সহপাঠী ও বন্ধুদের সাথে শেয়ার করি। পরবর্তীতে পরিবার ও বন্ধুদের প্রচেষ্টায় দূতাবাসে সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। মানবিক দিক বিবেচনা করেই তাদের জন্য সহায়তা পাঠানোর চেষ্টা করেছি। তিনি আরও বলেন, দেশেও যারা অসহায় বা দুর্দশাগ্রস্ত আছে আমাদের সবার উচিয় ব্যাক্তিগত বা সমন্বিত উদ্যোগ নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ানো।
[৮] জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানি বিভাগের শিক্ষার্থী একরামুল কবির রাকিব বলেন, শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে দূতাবাসে ঔষুধ ও আর্থিক সহায়তা পৌঁছানোর মাধ্যমে আমরা ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়াতে পেরেছি। তাই মানসিক ভাবে আমাদের ভালো লাগছে। সম্পাদনা: সাদেক আলী
আপনার মতামত লিখুন :