শিমুল মাহমুদ: [২] সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের অনুসন্ধানী ও সাহসী সাংবাদিকতার জন্য তাকে সাদুবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি আমি তাকে বাহবা জানাই। একই সঙ্গে তাকে শ্রদ্ধা করি তিনি অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে সত্য প্রচার করেছেন এবং তার ওপর যে নির্যাতন হয়েছে, এই নির্যাতনের মধ্যেও তিনি নতি স্বীকার করেননি। তিনি বলেছেন যে, আমার প্রতি অন্যায় হয়েছে ।
[৩] তিনি বলেন, কোথায় যাবেন? জুডিশিয়ারি! আজকে রোজিনা ইসলামের জামিনের শুনানী হয়েছে। রায় দিবে রোববার। সেইম ওল্ড প্রেকটিস। রোজিনা ইসলামের ঘটনা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, সামগ্রিক যে বাংলাদেশের আজকে চেহারা, সেই চেহারার একটা অংশ। সি ইজ নট অনলি দ্যা ভিকটিম।
[৪] বিএনপি মহাসচিব বলেন, তারা সংবিধানকে কেটে-সেঁটে তাদের মতো করে নিয়েছে, দুর্নীতির চিত্র যাতে প্রকাশ না পায় সেজন্য গণমাধ্যমের ওপর আঘাত করে চলেছে। আজকে একদিকে যেমন সংবাদপত্রের ওপর আঘাত আসছে অন্যদিকে মানুষের অধিকার যে নিয়ে কাজ করেন তাদের ওপরও আঘাত আসছে চরমভাবে।
[৫] রোজিনা ইসলামের পক্ষে সব সাংবাদিকর্ ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন শুনলাম। আমি মনে করি-এই ঐক্য কতক্ষন টিকবে? সাগর-রুনির হত্যাকান্ডের পর দুই পক্ষই তারা একসাথে রাস্তায় নেমেছিলেন। ৪/৫ দিনও যায়নি। একজন আপনার উপদেষ্টা হয়ে গেছেন সরকারের, আর কয়েকজন হালুয়া-রুটি দিয়ে তাদেরকে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়। আমার কথাগুলো দুঃখিত আমি স্পষ্ট করে বলছি।
[৬] তিনি বলেন, যতক্ষন পর্যন্ত আমরা হালুয়া-রুটির সন্ধানে থাকবো, যতক্ষন পর্যন্ত আমরা এই ফেভারের সন্ধানে থাকবে, ততক্ষন পর্যন্ত এই যে, রোজিনা ইসলামের মতো সাহসী সাংবাদিক যারা নিজের জীবন বিপন্ন করে আজকে সত্য কথাগুলো তুলে ধরে তাদেরকে রক্ষা করতে পারবে না এটাই বাস্তবতা।
[৭] আজকে অলিউল্লাহ নোমান লন্ডনে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে, আজকে মাহমুদুর রহমানকে দেশে ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়েছে, শফিক রেহমানকে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়েছে যে নির্যাতন তাদের ওপর হয়েছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমি এটাও বলতে শুনেছি যে, মাহমুদুর রহমান কোনো সাংবাদিক নন, সম্পাদক নন, এটাও বলতে শুনেছি শফিক রহমান তো আসলে কোনো সাংবাদিক নন। এই যে ডাবল স্ট্যান্ডার্ড এটা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সম্প্রতি সচিবালয়ে প্রথম আলোর পত্রিকার জ্যেবিএনপির উদ্যোগে ‘অবরুদ্ধ গণতন্ত্র, শৃঙ্খলিত গণমাধ্যম, মুক্তি পথ কী?’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়।