আতাউর অপু : করোনাভাইরাস নিয়ে ইন্টারনেট থেকে পাওয়া একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে করোনার ঢাকার পাঁচ অক্ষরেই রয়েছে করোনার সর্তক বার্তা।
ছবিতে দেখা গেছে:
বর্তমানে করোনাভাইরাসকে বিশ্বব্যাপী মহামারি হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশও করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্ত। আবারও ভয়াবহ আকার নিচ্ছে এই মহামারী। এখন এই পরিস্থিতিতে বেশ বোঝা যাচ্ছে, আগামী আরও বেশ কিছুটা সময় করোনাকে সঙ্গে নিয়েই চলতে হবে। আর সেই বিপদ মাথায় করেই আমাদের করতে হবে জীবন-যাপন। অতএব, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো ছাড়া বা সুরক্ষিত থাকা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই।
এমন সংক্রামক রোগের ইতিহাস বেশ দীর্ঘ। করোনাভাইরাস মহামারী যেভাবে নাড়িয়ে দিয়েছে বিশ্বকে, এর চেয়েও ভয়াবহ মহামারীর অভিঘাত সয়ে এসেছে মানুষ। কোনো কোনো মহামারীর প্রভাব এতটা তীব্র হয়েছে যে, তাতে বদলে গেছে সভ্যতার গতিপথ। মহামারীর ইতিহাস মানব সভ্যতার মতোই প্রাচীন। বিভিন্ন সময় সংক্রামক ব্যাধি ছড়িয়ে পড়েছে কোনো নির্দিষ্ট এলাকায়, কখনও আবার বিশ্বব্যাপী।
প্রাচীন যুগে মানুষ যখন বেঁচে থাকার জন্য শিকারের ওপর নির্ভরশীল ছিল, তখন থেকেই সংক্রামক রোগের অস্তিত্ব দেখা যায়। আজ থেকে ১১ হাজার বছর আগে মানুষ যখন কৃষিভিত্তিক অর্থনীতিতে থিতু হয়, তখনই মূলত গোষ্ঠী বা সম্প্রদায় তৈরির ধারণা আরও পোক্ত হয়। আর সেই সময় থেকেই সংক্রামক রোগ মহামারিতে রূপ নিতে শুরু করে। ম্যালেরিয়া, যক্ষ্মা, কুষ্ঠ, ইনফ্লুয়েঞ্জা, গুটিবসন্ত প্রভৃতি বিভিন্ন রোগ নানা সময়ে মহামারির আকার নিয়েছে। মানবসভ্যতা যত উন্নত হয়েছে, মহামারির প্রাবল্য তত বেড়েছে। কারণ, ধীরে ধীরে শহর, গ্রাম গড়ে উঠেছে, জনসংখ্যার ঘনত্ব বেড়েছে। এ ছাড়া বেড়েছে বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে যোগাযোগ ও বাণিজ্য। ফলে রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় ঝুঁকিও তৈরি হয়েছে।
যে কোনো ভাইরাসই ক্রমাগত নিজেকে বদলাতে থাকে। ফলে একই ভাইরাসের নানা ধরণ তৈরি হয়। এরমধ্যে কিছু ভ্যারিয়েন্ট অধিকতর ছোঁয়াচে এবং কিছুটা আগ্রাসী হয়ে যায়। তখন টিকা দিয়ে একে কাবু করা দুরূহ হয়ে পড়ে।
করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে আমাদের সর্বাত্মকভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রচেষ্টা থাকা উচিত। আতংকিত না হয়ে জনসাধারণ এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিরোধ ব্যবস্থা আরও জোরদার করা উচিৎ।
আপনার মতামত লিখুন :