মাসুদ আলম: [২] মাহমুদা খানম মিতু যেদিন খুন হন এর মাসখানেক আগেও তাকে একবার হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। বাবুল আক্তার তখন প্রশিক্ষণ নিতে চীনে ছিলেন। তবে খুনের ওই পরিকল্পনা তখন ‘সফল’ হয়নি। বাবুলকে জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
[৩] পিবিআইয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, মিতু হত্যা মামলায় ১২ মে বাবুল আক্তারকে ৫ দিনের রিমান্ড নেয় চট্রগ্রাম পিবিআই। প্রথম তিন দিনের জিজ্ঞাসাবাদে এক রকম নিরুত্তরই ছিলেন বাবুল। পরে কিছু কথা বলেছেন। সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিচলিত বোধ করছেন তিনি। কথা বলার সময় দুএকবার কেঁদেছেনও। তবে মিতু হত্যার ঘটনায় সব প্রশ্নই এড়িয়ে গেছেন তিনি। বাবুল শুধু এটুকু বলছেন, ‘সবই তো জানেন, আমি কী বলব।’ সবকিছু তদন্ত করে বের করা হোক। সোমবার আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেওয়ার কথা থাকলেও দেননি বাবুল। তাকে জবানবন্দির জন্য তিন ঘণ্টার সময় দেওয়া হয়েছিলো। রিমান্ডে জবানবন্দি দেওয়ার কথা বললেও আদালতে গিয়ে পাল্টে যান তিনি।
[৪] মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বেশ কিছু প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন, আবার কিছু এড়িয়েও গেছেন। সবকিছু তদন্তের স্বার্থে বলা যাবে না। মিতু হত্যার অভিযোগে করা মামলায় বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১২ মে রিমান্ডে নেয় পিবিআই। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ভিডিও দেখে ওই খুনে একাধিক ব্যক্তিকে চিহ্নিত করেছিল পুলিশ। যাদের মধ্যে ছিলেন বাবুলের ‘সোর্স’ মুছাও।
[৫] তিনি আরও বলেন, মিতু হত্যার প্রত্যক্ষদর্শী ছেলে মাহিরের সঙ্গে কথা বলা হবে। এছাড়া মিতু হত্যাকাণ্ডে স্বামী বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলায় কারাগারে থাকা আসামি মো. মোতালেব মিয়া ওরফে মো. ওয়াসিম এবং মো. আনোয়াকে নতুন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এনিয়ে মিতু হত্যা মামলায় ৩ আসামি কারাগারে। বাকি ৫ আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। প্রয়োজন হলে বাবুলকে আবারও রিমান্ড চাওয়া হবে।