সাইফুল ইসলাম: [২] ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে বুধবার (১২ মে) ভোর থেকেই যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ধীরগতির সৃষ্টি হয়েছে। টাঙ্গাইলের করটিয়ার রাবনা বাইপাস থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্বপাড় পর্যন্ত যানবাহনের ধীরগতি রয়েছে। এতে করে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ট্রাক, পিকআপ, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলে চলাচল করা ঘরমুখো মানুষ। গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও থেমে নেই পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে চাওয়া মানুষের যাত্রা। ভোগান্তি ও অতিরিক্ত ভাড়া সয়েই তারা ছুটছেন বাড়ির দিকে।
[৩] টাঙ্গাইল বাইপাসে মাইক্রোবাসের কয়েকজন যাত্রীর সাথে কথা বলে তারা জানায়, রাত সাড়ে নয়টার দিকে শ্যামলী থেকে ঠাকুরগাঁওয়ের উদ্দেশ্যে মাইক্রোবাসে রওনা দিয়েছিলাম। টাঙ্গাইল বাইপাসে পৌঁছলাম সকাল সাড়ে ৯ টায়। এই সময়েও এতো যানজট। শুনলাম সামনে নাকি যমুনা সেতু পর্যন্ত যানজট। কখন বাড়ি পৌঁছাবো তা ভাবতেও পারছি না।
[৪] ঈদযাত্রার চাপে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকার প্রায় ৩০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ধীরগতিতে চলছে যানবাহন। হাইওয়ে পুলিশের সূত্রে জানা যায়, সেখানে গাড়ি চলছে পাঁচ কিলোমিটার গতিতে। মহাসড়কের টাঙ্গাইলের করটিয়া থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব গোলচত্বর পর্যন্ত এলাকায় এই চাপ বুধবার ভোর থেকেই। সেখানে পিকআপ ভ্যান, ট্রাক, অ্যাম্বুলেন্স, মাইক্রোবাস ও ব্যক্তিগত যানবাহনগুলো চলছে থেমে থেমে।
[৫] যানবাহনের এই চাপ মঙ্গলবার রাতে কিছ্টুা কমে গেলেও বুধবার ভোর থেকে বেড়ে যায় কয়েক গুণ। টাঙ্গাইলের করটিয়া বাইপাস, টাঙ্গাইলের আশিকপুর বাইপাস, রাবনা বাইপাস ও এলেঙ্গাতে শ শ মানুষকে যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। এছাড়াও যানবাহন না পেয়ে অনেকেই হেঁটে রওনা দিয়েছেন তাদের গন্তব্যস্থলে পৌছানোর জন্য।
[৬] টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইয়াসির আরাফাত জানান, মহাসড়কে গাড়ির ব্যাপক চাপ রয়েছে। তবে গাড়ি কোথাও থেমে নেই। পাঁচ কিলোমিটার গতিতে সড়কে যানবাহন চলাচল করছে। সম্পাদনা: সাদেক আলী