মোঃ শামসুল ইসলাম: যে সমাজ ধর্মের মূলনীতিগুলো থেকে যতটুকু সরে যায় সে সমাজে ধর্ম নিয়ে তত বাড়াবাড়ি পরিলক্ষিত হয়। আমাদের উপমহাদেশে এটাতো পরীক্ষিত সত্য!
অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী মায়ের সাথে একটি অসম্ভব সুন্দর ছবি শেয়ার করে এই পবিত্র রমজান মাসে ধর্মের নামে একশ্রেণির মুসলমানের আক্রমণের শিকার হয়েছেন। এটা নিয়ে বিতর্ক এখনো শেষ হয়নি।
আমি যে কারণে চিন্তিত তাহলো তরুণ সমাজের এক উল্লেখযোগ্য অংশ ইসলাম ধর্মের মর্মবাণী ধরতে পারছে না। কাউকে এভাবে আঘাত করা যে কোনোভাবেই ধর্মসম্মত নয় এটি তারা শিখেনি।
আরো উদ্বেগের ব্যাপার হচ্ছে প্রকৃত ধর্ম শেখার জন্য এদেশে তাদের কোনো শিক্ষক নেই। বিভিন্ন কারণে হেফাজতের প্রতি সাধারণ মানুষের সহানুভূতি অন্তর্হিত হয়েছে।
মাদ্রাসাগুলোতে একের পর এক শিশুদের বলৎকারের ঘটনায় যখন সবাই চরম উদ্বিগ্ন, তখন হেফাজত তথা কওমি মাদ্রাসার অনেক শিক্ষক নিজেদের সংশোধন না করে নেমেছিলেন রাজনীতিতে।
ওয়াজের নামে তাদের এক কোটারী হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। জনগণের কেউ হতভম্ব হয়েছেন, কেউ বা হয়েছেন বিভ্রান্ত। আমি এগুলো নিয়ে আগেও লিখেছি।
অপরদিকে সেক্যুলারিস্টদের ধর্ম নিয়ে উন্নাসিকতা তো আছেই। বোরকা পরে যখন একজন মা তার ছেলের সাথে ক্রিকেট খেলেন, তারাও হয়ে উঠেন রুষ্ট। দূরে ঠেলে দেন ধর্মে আগ্রহী এক বিশাল জনগোষ্ঠীকে।
সুতরাং তরুণরা যা করার তাই করছে। অনলাইনে দেশে বিদেশী বিভিন্ন ধর্মীয় কন্টেন্ট দেখে তারা হচ্ছে বিভ্রান্ত। তারা তো ধর্মের সৌন্দর্য বা মাধুর্য দেখেনি। ধর্মের নামে তাই তারা ঘটাচ্ছে অধর্ম।
কোথাও জায়গা না পেয়ে তাদের ক্ষোভ সব ঢেলে দিচ্ছে ফেসবুকে। ফেসবুকে এখন আর ঢোকা যায়না। বেশিরভাগকেই আনফলো করে রাখতে হয়।
কিসের সামাজিক মাধ্যম! এদেশে ফেসবুক দিনে দিনে রুচিহীন ঝগড়াবিবাদ আর পারস্পরিক আক্রমণের এক ভাগাড়ে পরিণত হচ্ছে!
ফেসবুক থেকে।