হ্যাপি আক্তার: [২] কক্সবাজারের চকরিয়া থেকে গ্রেপ্তার হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের বিলুপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক জাকারিয়া নোমান ফয়েজীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছেন ভুক্তভোগী এক নারী।
শুক্রবারে (৭ মে) মধ্যরাতে হাটহাজারী থানায় এ মামলা দায়ের হয়। বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক
[৩] বৃহস্পতিবার (৬ মে) বিকাল ৩টায় চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক সংবাদ সম্মেলন তার গ্রেপ্তারের কথা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, তার কাছ থেকে পাওয়া মোবাইলে একাধিক নারীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের প্রমাণ পেয়েছি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নিজেও বিষয়টি স্বীকার করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে দুই থেকে তিন জনের সঙ্গে তার সম্পর্ক আছে।
[৪] তিনি আরো জানান, জাকারিয়া নোমান ফয়েজী হাটহাজারীতে সহিংসতার ঘটনায় দায়ের করা তিনটি মামলার এজহারভুক্ত আসামি। এর বাইরে অন্য কোনও ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে, সেসব মামলায়ও তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে।
[৫] জাকারিয়া নোমান ফয়েজীর বাবা মরহুম আল্লামা নোমান ফয়েজী আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার শূরা সদস্য, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের বিলুপ্ত কমিটির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও হাটহাজারী উপজেলার আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া হামিয়ুচ্ছুন্নাহ মেখল মাদরাসার পরিচালক ছিলেন। গত ২২ মে রাজধানীর উত্তরায় একটি বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন তিনি।
[৬] গত ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনের বিরোধিতা করে হাটহাজারীতে সংঘাত করে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা। এ সময় হাটহাজারী বড় মাদ্রাসা নামে পরিচিত দারুল উলুম ময়নুল ইসলাম মাদ্রাসা থেকে মিছিল বের করে হাটহাজারী থানায় ভাঙচুর চালানো হয়। হেফাজত কর্মীরা হাটহাজারী উপজেলার ভূমি অফিস ও সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে। চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়ক অবরোধ করে, মাদ্রাসার সামনে ইটের দেয়াল তুলে ব্যারিকেড দেয়া হয়।