শিরোনাম
◈ অর্থনীতিতে ইতিবাচক ইঙ্গিত: রেকর্ডসংখ্যক কোটিপতি ব্যাংক হিসাব ◈ কাতার ও ফিলিস্তিনের প্রতি অবিচল সমর্থন জানালো বাংলাদেশ ◈ দুবাইয়ে বিকৃত যৌ.নাচার ব্যবসার চক্রের মুখোশ উন্মোচন এবার বিবিসির অনুসন্ধানে! ◈ জনপ্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তাকে বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে বদলি ◈ ‘আমার নাম স্বস্তিকা, বুড়িমা নই’ ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বস্তিকা ◈ তিন জেলার ডিসিকে প্রত্যাহার ◈ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ আবার বাড়ল ◈ আর্থিক সুবিধা নেওয়ায় কর কর্মকর্তা বরখাস্ত ◈ লড়াই ক‌রে‌ছে হংকং, শেষ দি‌কে হাসারাঙ্গার দাপ‌টে জয় পে‌লো শ্রীলঙ্কা ◈ দুর্গাপূজায় মণ্ডপ পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসকে আমন্ত্রণ হিন্দু ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের

প্রকাশিত : ০৭ মে, ২০২১, ০২:৩৮ রাত
আপডেট : ০৭ মে, ২০২১, ০২:৩৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অপ্রয়োজনীয় ওষুধ সেবন করোনা রোগীদের হিতে বিপরীত হতে পারে

আতাউর অপু: করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের অধিকাংশই বাসায় থেকে চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে অনেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই ওষুধ খেয়ে থাকেন। এমনকি অনেকে অ্যান্টিবায়োটিকও নিয়ে থাকেন।

এভাবে করোনা রোগীদের ওষুধ সেবন হিতে বিপরীত হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) রিউম্যাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আতিকুল হক।

তিনি বলেন, কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার মাত্রাকে মোটা দাগে মৃদু, মাঝারি ও তীব্র- এই তিন ধাপে ভাগ করা যেতে পারে।

এই বিশেষজ্ঞ বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত একজন রোগীর অতিরিক্ত অক্সিজেনের প্রয়োজন হচ্ছে না, ততক্ষণ পর্যন্ত সেটাকে মাঝরি বলা হয়ে থাকে। অক্সিজেন মাপার যন্ত্র পালস অক্সিমিটারে অক্সিজেনের মাত্রা যখন ৯২ এর নিচে নেমে আসে, তখন তার কৃত্রিমভাবে অক্সিজেন প্রয়োজন হয়।

অধ্যাপক আতিকুল হক বলেন, মৃদু এবং মাঝারি কোভিডের জন্য এখন পর্যন্ত কোনো ওষুধের অনুমোদন দেওয়া হয়নি। এটাও ঠিক যে মৃদু এবং মাঝারি কোভিডের জন্য কোনো ওষুধের দরকারও নেই।

তিনি বলেন, মৃদু এবং মাঝারি কোভিড কোনো ওষুধ ছাড়াই সেরে যায়। এ সময় যদি ওষুধ দেওয়া হয়, তাহলে ওষুধের পার্শপ্রতিক্রিয়ায় হিতে বিপরীত হতে পারে। যাদের অক্সিজেনের মাত্রা কমেনি, তাদের জন্য কোনো ওষুধ কার্যকারী হয় না।

এই বিশেষজ্ঞ বলেন, বিজ্ঞানের হিসেবে বলতে গেলে মৃদু এবং মাঝারি কোভিডের জন্য কোনো ওষুধ দেওয়া অন্যায়। পৃথিবীতে মানুষের কিছু রোগই হয় যার কোনো ওষুধের দরকার হয় না। যেমন সাধারণ ডায়রিয়া বা ভাইরাসজনিত সাধারণ সর্দিকাশির জন্য কোনো ওষুধের দরকার হয় না।

তিনি বলেন, ‘কিছু কিছু জায়গায় নো ট্রিটমেন্ট ইজ দ্যা বেস্ট ট্রিটমেন্ট অর্থাৎ সেখানো কোনো চিকিৎসা বা ওষুধ না দেওয়াটাই বড় চিকিৎসা। যেমনটি জন্ডিস রোগের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। এর কোনো ওষুধের প্রয়োজন হয় না বা ওষুধ দিয়েও কোনো কাজে লাগে না। জন্ডিসের কারণে কিছু জটিলতা হয়। কিন্তু সেগুলো ওষুধ দিয়ে প্রতিরোধ করা যায় না।’

অধ্যাপক আতিকুল হক বলেন, ‘কোভিড অনেকটা সেই ধরনেরই রোগ যা তীব্র হয় খুব কম রোগীর ক্ষেত্রে। তীব্র হওয়া প্রতিরোধ করবে এমন কোনো ওষুধ যেহেতু পরীক্ষিত না, সেহেতু কোনো ওষুধ না দেওয়াটাই ভালো।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়