শিরোনাম
◈ মিরপু‌রের চেয়েও ও‌য়েস্ট ই‌ন্ডি‌জের গায়ানায় বাজে উইকেটে খেলেছি: রিশাদ হো‌সেন ◈ সাকিব আল হাসা‌নের সঙ্গে আবুধাবি টি-টেন লিগে দল পেলেন সাইফ ও নাহিদ ◈ রেকর্ড ছোঁয়ার পর স্বর্ণের দামে বড় পতন ◈ ১৮ বছর পর বাংলাদেশ-কুয়েত পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক: বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও শ্রমবাজারে নতুন সম্ভাবনা ◈ এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের টানা অনশন, অসুস্থ বহু শিক্ষক ◈ চট্টগ্রাম বন্দরে ১২শ টন কাঁচামালবাহী লাইটার জাহাজ ডুবি (ভিডিও) ◈ শাহজালালে আগুন: বিলিয়ন ডলারের বেশি ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের ◈ বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের সম্ভাবনা, টানা ৫ দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস ◈ গাঁজা সেবনের পর ভয়াবহ স্মৃতি মনে পড়ে মালালার ◈ দেশের বিভিন্ন স্থানে অগ্নিকাণ্ড নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতি

প্রকাশিত : ০৭ মে, ২০২১, ০২:৩৮ রাত
আপডেট : ০৭ মে, ২০২১, ০২:৩৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অপ্রয়োজনীয় ওষুধ সেবন করোনা রোগীদের হিতে বিপরীত হতে পারে

আতাউর অপু: করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের অধিকাংশই বাসায় থেকে চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে অনেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই ওষুধ খেয়ে থাকেন। এমনকি অনেকে অ্যান্টিবায়োটিকও নিয়ে থাকেন।

এভাবে করোনা রোগীদের ওষুধ সেবন হিতে বিপরীত হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) রিউম্যাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আতিকুল হক।

তিনি বলেন, কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার মাত্রাকে মোটা দাগে মৃদু, মাঝারি ও তীব্র- এই তিন ধাপে ভাগ করা যেতে পারে।

এই বিশেষজ্ঞ বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত একজন রোগীর অতিরিক্ত অক্সিজেনের প্রয়োজন হচ্ছে না, ততক্ষণ পর্যন্ত সেটাকে মাঝরি বলা হয়ে থাকে। অক্সিজেন মাপার যন্ত্র পালস অক্সিমিটারে অক্সিজেনের মাত্রা যখন ৯২ এর নিচে নেমে আসে, তখন তার কৃত্রিমভাবে অক্সিজেন প্রয়োজন হয়।

অধ্যাপক আতিকুল হক বলেন, মৃদু এবং মাঝারি কোভিডের জন্য এখন পর্যন্ত কোনো ওষুধের অনুমোদন দেওয়া হয়নি। এটাও ঠিক যে মৃদু এবং মাঝারি কোভিডের জন্য কোনো ওষুধের দরকারও নেই।

তিনি বলেন, মৃদু এবং মাঝারি কোভিড কোনো ওষুধ ছাড়াই সেরে যায়। এ সময় যদি ওষুধ দেওয়া হয়, তাহলে ওষুধের পার্শপ্রতিক্রিয়ায় হিতে বিপরীত হতে পারে। যাদের অক্সিজেনের মাত্রা কমেনি, তাদের জন্য কোনো ওষুধ কার্যকারী হয় না।

এই বিশেষজ্ঞ বলেন, বিজ্ঞানের হিসেবে বলতে গেলে মৃদু এবং মাঝারি কোভিডের জন্য কোনো ওষুধ দেওয়া অন্যায়। পৃথিবীতে মানুষের কিছু রোগই হয় যার কোনো ওষুধের দরকার হয় না। যেমন সাধারণ ডায়রিয়া বা ভাইরাসজনিত সাধারণ সর্দিকাশির জন্য কোনো ওষুধের দরকার হয় না।

তিনি বলেন, ‘কিছু কিছু জায়গায় নো ট্রিটমেন্ট ইজ দ্যা বেস্ট ট্রিটমেন্ট অর্থাৎ সেখানো কোনো চিকিৎসা বা ওষুধ না দেওয়াটাই বড় চিকিৎসা। যেমনটি জন্ডিস রোগের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। এর কোনো ওষুধের প্রয়োজন হয় না বা ওষুধ দিয়েও কোনো কাজে লাগে না। জন্ডিসের কারণে কিছু জটিলতা হয়। কিন্তু সেগুলো ওষুধ দিয়ে প্রতিরোধ করা যায় না।’

অধ্যাপক আতিকুল হক বলেন, ‘কোভিড অনেকটা সেই ধরনেরই রোগ যা তীব্র হয় খুব কম রোগীর ক্ষেত্রে। তীব্র হওয়া প্রতিরোধ করবে এমন কোনো ওষুধ যেহেতু পরীক্ষিত না, সেহেতু কোনো ওষুধ না দেওয়াটাই ভালো।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়