কামাল হোসেন: [২] দেশব্যাপি করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী প্রবনতায় সরকারি নির্দেষে লকডাউন চলছে। সামনে ঈদ আর তাইতো ঘরমুখো মানুষ ধীরে ধীরে রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছে। করোনা ভাইরাস সংক্রমন ঝুঁকি উপেক্ষা করে পাটুরিয়া হয়ে ফেরিতে গাদাগাদি করে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে এসে ভীর করছে তারা।
[৩] বৃহস্পতিবার (৬ মে) দুপুরে সরেজমিন দেখা যায়, দূরপাল্লার যানবাহন বন্ধ থাকায় ঢাকা ও এর আশপাশের জেলা শহরগুলো থেকে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ বিভিন্ন ছোট ছোট যানবাহনে করে এসে ফেরি পার হয়ে দৌলতদিয়া ঘাট প্রান্তে এসে ভিড় করছে। এখান থেকে অতিরিক্ত ভাড়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জেলাভিত্তিক লোকালবাস, ইজিবাইক, মাহিন্দ্র, মোটরসাইকেল, নসিমন, পিকআপসহ বিভিন্ন যানবাহনে গাদাগাদি করে গন্তব্যস্থলের দিকে রওয়ানা করছে। সরকারী ভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানার কথা বলা হলেও সাধারণ মানুষের মধ্যে তা লক্ষ করা যায়নি।
[৪] ঢাকা থেকে আসা সাতক্ষীরা গামী যাত্রী আয়শা আক্তার বলেন, সামনে ঈদ আর তাইতো একটু আগেভাগেই ঢাকা ছেড়ে বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছি। দুরপাল্লার যানবাহন বন্ধ থাকায় অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েও পথে পথে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে। আল্লাই যানে বাড়ি পৌছাতে আর কত ভোগান্তিতেই না পরতে হবে।
[৫] বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার সহকারী ব্যবস্থাপক মজিবর হোসেন মোল্লা জানান, ঘাটে ছোট বড় মিলিয়ে ১৬টি ফেরি রয়েছে এর মধ্যে ছোট বড় মিলিয়ে ৮টি ফেরি দিয়ে সীমিত আকারে শুধুমাত্র এ্যাম্বুলেন্স ও জরুরী পন্যবাহি যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। বিকেল ৫টার পর থেকে সবগুলো ফেরি চলাচল করবে, ফেরি সচল থাকায় ঘরমূখী মানুষ ফেরি পার হচ্ছে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ