শিরোনাম
◈ সরকারি দপ্তরগুলোতে গাড়ি কেনা ও বিদেশ সফরে কড়াকড়ি: কৃচ্ছ্রনীতির অংশ হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা ◈ ২১ বছর বয়স হলেই স্টার্ট-আপ লোনের সুযোগ, সুদ মাত্র ৪%: বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা ◈ ঢাকায় একটি চায়না টাউন প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে: আশিক চৌধুরী ◈ তিন বোর্ডে বৃহস্পতিবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত ◈ এসএসসির ফল নিয়ে যে বার্তা দিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা ◈ সৈক‌তের কা‌ছে দু:খ প্রকাশ ক‌রে‌ছেন ‌বি‌সি‌বির প্রধান নির্বাচক  ◈ ভারত সরকারকে আম উপহার পাঠাল বাংলাদেশ ◈ পুলিশের ঊর্ধ্বতন ১৬ কর্মকর্তা বদলি ◈ কল রেকর্ড ট্রেলার মাত্র, অনেক কিছু এখনো বাকি, অপেক্ষায় থাকুন: তাজুল ইসলাম ◈ জাতীয় নির্বাচনের সব প্রস্তুতি ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা : প্রেস সচিব

প্রকাশিত : ০৬ মে, ২০২১, ০৪:২৩ সকাল
আপডেট : ০৬ মে, ২০২১, ০৪:২৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শর্বাণী দত্ত: ফ্যাসিবাদী বিজেপিকে পরাজিত করে সিপিএম ও বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা কি গণতন্ত্রের চর্চার অংশ!

শর্বাণী দত্ত: একটি সরল প্রশ্ন।Politics is always about choosing the lesser evil. বিজেপি ফ্যাসিস্ট তাই তৃণমূল lesser evil. কিন্তু তৃণমূল কীভাবে ও কেন ফ্যাসিস্ট নয়? ফ্যাসিবাদ কাকে বলে? তৃণমূলের গুণ্ডারা খুন, ধর্ষণ, জঘন্য দুর্নীতি ছাড়া আর কী করেছে? ভোটে জেতার পর এখন সিপিএম আর বিজেপির ওপর নোংরা আক্রমণ শুরু করেছে। কিন্তু কিছু বললেই প্রগতি শিবিরের ঝাণ্ডাধারী লোকজন বলছে মিথ্যে প্রোপাগাণ্ডা। পশ্চিমবঙ্গে বছরের পর বছর সরকারি চাকরির পরীক্ষা হয় না, রাজ্যের বেশিরভাগ মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা শোচনীয়। আর যে তৃণমূলকে আপনারা অসাম্প্রদায়িক ভেবে এর পাপ, খুন-খারাবি, ধর্ষণ সমস্ত অপরাধ মার্জনা করে দেন, সেই তৃণমূল আসলে পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যালঘুদের জন্যই বা কী করেছে? তাদেরকে ফিক্সড ভোট ব্যাংক হিসেবে ব্যবহার করা ছাড়া, অপ্রয়োজনীয় তোষামোদ করা ছাড়া আর কী করেছে? তাদের শিক্ষা-দীক্ষা, আর্থিক উন্নয়ন কোনটার জন্য কী করেছে? বরং ঠাণ্ডা মাথায় পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির জন্য মাঠ তৈরি করে দিয়েছে, যেন বিজেপিকে শোপিস দেখিয়ে তিনি বারবার ক্ষমতায় আসতে পারেন। এসেছেনও।

বাংলাদেশে বসে ওদিককার এখনের অবস্থা সম্পর্কে আন্দাজে কোনো তথ্য দিতে চাই না। যেকোনো তথ্য দেওয়ার ব্যাপারে আমি দায়বদ্ধতা অনুভব করি। তবে বিজেপির আইটি সেল মিথ্যে প্রোপাগাণ্ডা ছড়িয়ে ‘সাম্প্রদায়িক সহিংসতা’ তৈরি করতে চাইছে বুঝলাম, কিন্তু সিপিএমের আইটি সেল থেকে কীসের প্রোপাগাণ্ডা ছড়াচ্ছে? তাদের ওপর তৃণমূলী হামলাও কী মিথ্যে? তাছাড়া ‘পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুদের ওপর মুসলিমের আক্রমণ’ এমন কোনো খবর কিন্তু আমি দেখছিও না, ‘পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলের মানুষের ওপর তৃণমূলের আক্রমণ’ দেখছি। বরং সবচেয়ে বেশি পোস্ট দেখছিঃ ‘পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুদের ওপর মুসলিমের আক্রমণ নামক মিথ্যে গুজব ছড়িয়ে নাকি দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা চলছে’। এই বিচ্ছিরি আইডিয়াটা তাদরে নিজেদের মস্তিষ্কপ্রসূত। এমন কন্সপিরেসি থিওরি আদতে কাদের মাথায় তৈরি হয়েছে সেটা বলা নিষ্প্রয়োজন।

বাংলাদেশের বন্ধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনোদিন ছিলেন না, তিস্তার জল আমাদের পাওনা। কিন্তু তিনি তা দেবেন না। সে না দিক, আপনি বাঁচলে বাপের নাম। তাছাড়া বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়, প্রসিদ্ধি ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি পশ্চিমবঙ্গের মানুষের চেয়ে এমনিতেই অনেকখানি এগিয়ে। প্রশ্ন হলো, ফ্যাসিবাদী বিজেপিকে পরাজিত করে সিপিএম কর্মী, বিজেপি কর্মীর ওপর হামলাও কী তার গণতন্ত্রের চর্চার অংশ? তৃণমূল less evil  কেন, কীভাবে? আমি বিজেপিকে ভোট দিতে বলছি না (যেহেতু অনেকের অভ্যেস যখন যাকে খুশি ‘ভক্ত’ বা ‘সঙ্গী’ বলে দেওয়া)। কিন্তু সত্যি বলতে গেলে বিজেপি আর তৃণমূলের রাজনৈতিক কার্যকলাপে এক বিন্দু পার্থক্য খুঁজে পাওয়াও মুশকিল। নির্বাচনে জেতার পর এমন নোংরামি এর আগে নিজের দেশে বিএনপিকেই করতে দেখেছি ২০০১ সালে। এগুলো গণতন্ত্র নয়, ফ্যাসিবাদের বিরোধিতা গুণ্ডামি করে হয় না। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়