নূর মোহাম্মদ: [২] রোববার শুনানিতে হাইকোর্ট রিটকারীর উদ্দেশে বলেন, সরকারের সদিচ্ছদার কোনো অভাব নেই। নোটিশ দিলেন ২৪ এপ্রিল। সাত দিনের নোটিশ দিয়ে এসে রিট ফাইল করে বলতেছেন পরিকল্পনা করার জন্য। এটা যখন শুরু হলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও বলতে পারেনি কি হতে পারে। দেশ-বিদেশের সব বিশেষজ্ঞরা গবেষণা করে নতুন নতুন কথা বলতেছেন। বিভিন্ন ধরনের ভেরিয়েন্ট চলে আসতেছে। এগুলে নিয়ে কি বলবেন।
[৩] আদালত বলেন, অক্সিজেন নিয়ে সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে এখনও এ ধরনের সঙ্কট হয়নি। টেলিভিশনে দেখছি প্রত্যেকটা মার্কেটে যেভাবে লোক ছুটছে এবং কিভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে সেটাও দেখাইছে। আপনারা জনগণকে সচেতন করেন স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য। বিশেষজ্ঞরা বলতেছেন যে, এক ডোজ নেন আর দুই ডোজ নেন মাস্ক আপনাকে পরতেই হবে।
[৪] আইসিইউর বিষয়ে আদালত বলেন, মনে রাখতে হবে একটা আইসিইউ চালাতে গেলে যে ধরনের ডাক্তার, টেকনিশিয়ান, নার্স প্রয়োজন হয়, এ ধরনের জনবলের অভাব আছে। এ ধরনের জনবল রাতারাতি বা ৭ দিনের ট্রেনিং দিয়ে তৈরি করতে পারবেন না।
[৫] হাইকোর্ট বলেন, সরকার আরও তিনটি দেশের সঙ্গে চুক্তি করেছে। স্বাভাবিক হলে আমাদের দেশে টিকা উৎপাদন হবে বলে শোনা যাচ্ছে। এখন এসব বিষয়ে হস্তক্ষেপ করলে সমাজে আতঙ্ক সৃষ্টি হবে। এরপর আদালত রিটটি ডিলিট করে দেন। গত ২৬ এপ্রিল রিটটি করেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব ও ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাওছার।