শাহীন খন্দকার: [২] করোনাভাইরাসের টিকার নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে এটি গণহারে প্রয়োগ কখনোই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ও অণুজীববিজ্ঞানী ড. মুহম্মদ মঞ্জুরুল করিম। রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি। ড.মুহম্মদ মঞ্জুরুল করিম বলেন, টিকার সেফটি কতটুকু বিবেচনায় আনা হয়েছে,তা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। টিকা নেওয়ার পর এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে অনেকে মারা যাচ্ছেন বলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া নানা তথ্য আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে।
[৩] তিনি আরও বলেন, আসলে অক্সফোর্ড বা স্পুটনিকের টিকায় অ্যাডিনোভাইরাল ভেক্টর প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। এটি একেবারেই নতুন প্রযুক্তি এবং এর সেফটি এখনও পরীক্ষিত নয়। এত দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি পজিটিভ সেন্সের আরএনএ ভাইরাসের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিনের সেফটি ভালো হবে, সেটি নিশ্চিতভাবে বলা যায় না। এক্ষেত্রে টিকার সেফটি আমাদের জনগণের ইমিউনিটি সাপেক্ষে অবশ্যই পরীক্ষা করা উচিত। সেফটি পরিমাপ না করে জনগণের ওপর তা গণহারে প্রয়োগ কখনোই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
[৪] এই অণুজীববিজ্ঞানী বলেন, আরও বলেন, প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে ফ্লু ভাইরাসে স্বাভাবিকভাবে ১০০ কোটি লোক আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে ২০ কোটি লোকের মধ্যে ইনফেকশন ভাইরাল নিউমোনিয়া পর্যায় চলে যায়। ভাইরাল ফ্লুগুলোর একটি বড় অংশের জন্য দায়ী করোনাভাইরাসের বিভিন্ন স্ট্রেইনগুলো। এ সমস্যার নতুন কিংবা সাময়িক কোনো বিষয় নয়। তাই তাড়াহুড়ো করে লকডাউন দিয়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেও কোনো লাভ হবে না, বরং এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানের দিকে আমাদের স্বাস্থ্য বিভাগকে দৃষ্টি দিতে হবে।