সুজন কৈরী : গ্রিলকাটা চোর চক্রের মূলহোতাসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- চক্রের দলনেতা আব্দুল গাফফার, তার সহযোগী নজরুল ইসলাম ওরফে সোহাগ, রিপন, মাসুদ তালুকদার ও মাসুদ। তাদের কাছ থেকে ৮টি মোবাইল ফোনসেট, ৭টি ল্যাপটপ ও ১৮টি সীম কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার দিবাগত রাতে রাজধানীর ডেমরা ও কদমতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা অর্গানাইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম।
বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তারকৃতদের ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
চলতি বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে উত্তরা ১ নম্বর সেক্টরের প্রপার্টি কানেক্টের অফিসে কৌশলে প্রবেশ করে একটি আইপ্যাড, ৪টি একটি আইফোন, ১২ থেকে ১৪টি অব্যবহৃত ফোনসেট, দুটি ল্যাপটপ ও নগদ ১ লাখ ৯৫ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় জনৈক ওয়ালিউল আজিমের ২২ ফেব্রুয়ারি বিমানবন্দর থানায় মামলা করেন। মামলাটির ছায়া তদন্ত শুরু করে গোয়েন্দা সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ।
গোয়েন্দা অর্গানাইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. নাজমুল হক জানান, মামলার ছায়া তদন্তকালে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গ্রিলকাটা চোর চক্রের সদস্যদের সনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যে চোরাই মোবাইল, ল্যাপটপ ও ভুয়া নিবন্ধিত সীম কার্ড উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, চক্রের সদস্যরা রাজধানীসহ নারায়নগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ ও টংগী এলাকার বাসা ও অফিসের জানালার গ্রিল ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোনসেটসহ মূল্যবান সামগ্রী চুরি করতো।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, চক্রের সদস্যরা দিনের বেলায় বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে টার্গেট ঠিক করে। গ্রেপ্তার রিপন পিকআপ গাড়ি নিয়ে বাইরে অপেক্ষা ও আব্দুল গাফফার এবং মাসুদ বাহিরের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতো। গ্রিল ভেঙ্গে বাসা বা অফিসের ভেতরে প্রবেশ করতো নজরুল। চুরি করা মালামাল পিকআপে করে গাফফারের বাসায় নিয়ে ভাগাভাগি করা হতো। মাসুদ তালুকদার ল্যাপটপ ও মোবাইল অনলাইন প্লাটফর্মে বিজ্ঞাপন দিয়ে বিক্রি করতো। বিজ্ঞাপন দেয়ার কাজে ভুয়া নিবন্ধিত সিম ব্যবহার করা হতো।
আপনার মতামত লিখুন :