রাশিদুল ইসলাম : [২] সোমবার রাতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফোন করে দেশটির সার্বিক কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এর একদিন আগে রোববার ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান। ডোভালকে তিনি জানান, সংক্রমণ প্রতিরোধে এই মুহূর্তে ভারতের কী কী প্রয়োজন তা চিহ্নিত করেছে বাইডেন প্রশাসন। অবিলম্বে ভারতকে ওষুধ, পিপিই কিট, ভেন্টিলেটর, অক্সিজেন এবং কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের কাঁচা উপাদান সরবরাহ করবে ওয়াশিংটন। টাইমস অব ইন্ডিয়া
[৩] ওয়াশিংটন যেভাবে সাহায্যের অঙ্গীকার করেছে সে জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আবার মোদিকে বাইডেনও জানিয়েছেন, সংকটের সময়ে নয়াদিল্লি যেভাবে আমেরিকার পাশে থেকেছে তাতে এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নতুন উচ্চতা পেয়েছে।
[৪] মার্কিন প্রেসিডেন্ট টুইট করেও লিখেছেন যে, মহামারীর শুরুতে আমাদের হাসপাতালগুলো সংকটে পড়ায় ভারত যেভাবে সাহায্য পাঠিয়েছিল, আমেরিকাও ভারতের সংকটের এই সময়ে সেভাবেই পাশে থাকতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। কোভিড মোকাবিলায় আমেরিকা যে সব রকম ভাবে সাহায্য করতে প্রস্তুত তা জানিয়েছি। আমাদের পাশে সংকটের সময়ে ভারত ছিল, আমরাও ওদের পাশে থাকব।
[৫] এর পাশাপাশি হোয়াইট হাউজও একটি বিবৃতি প্রকাশ করে তাদের অঙ্গীকারের কথা জানিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে মহামারী গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ার পর তার সব থেকে বেশি অভিঘাত দেখা গিয়েছিল দুটি দেশে। ইতালি ও আমেরিকা। সেই সময়ে বিশেষজ্ঞদের ধারণা ছিল কোভিড নিরাময়ে হাইড্রক্সিক্লোরোক্যুইন কার্যকরী হতে পারে। সেই ওষুধের অন্যতম উৎপাদক দেশ হিসাবে কাল বিলম্ব না করে তা আমেরিকা, ব্রাজিল, ইতালি, জার্মানি, ব্রিটেনে পাঠিয়েছিল ভারত।
[৬] বিবৃতিতে আরো বলা হয় আর এখন গোটা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ কেউ কারও থেকে বিচ্ছিন্ন নয়। কেউ গা বাঁচিয়ে চলতে পারবে না। পারস্পরিক সহযোগিতা ছাড়া এই বিশ্বজোড়া সংকট মোকাবিলা সম্ভব নয়। সেদিক থেকে নয়াদিল্লি ও ওয়াশিংটনের কূটনৈতিক সম্পর্ক শুধু পরিণত নয়, সময়োপযোগী ও বাস্তবসম্মত।