শিমুল মাহমুদ: [২] বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য নিজেই গণমাধ্যমকে এ কথা জানান। সোমবার বিকেলে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে লোক মারফত তিনি এ চিঠি পৌঁছে দেন।
[৩] চিঠিতে মির্জা আব্বাস বলেন, ১৭ এপ্রিল ইলিয়াস আলীকে নিয়ে বক্তব্য দেওয়ার পরদিন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তবুও দল তার বক্তব্যের ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছে। তার বক্তব্য আসলে কেউ অনুধাবন করেনি, যা অত্যন্ত দুঃখের বিষয়।
[৪] চিঠিতে তিনি বলেন, আমি কখনো বিএনপি ও জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে কাজ করেনি। দলের দুঃসময়ে দলের জন্য কাজ করেছি নিরসলভাবে। সরকার বিরোধী আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছি সামনে থেকে।
[৫] গত ১৭ এপ্রিল দলের ভার্চ্যুয়াল এক অনুষ্ঠানে ইলিয়াস আলীর নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা উল্লেখ করে মির্জা আব্বাস বিএনপির মহাসচিবের প্রতিও আহ্বান জানিয়ে বলেন, ইলিয়াস আলীর গুমের পেছনে দলের অভ্যন্তরে লুকায়িত ‘বদমায়েশগুলো’কে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিন।
[৬] এই বক্তব্য নিয়ে নানামুখী আলোচনা শুরু হলে মির্জা আব্বাস সংবাদ সম্মেলন করে এর ব্যাখ্যা দেন। তাতেও বিএনপির হাইকমান্ড সন্তুষ্ট না হলে গত বৃহস্পতিবার আব্বাসকে তার বক্তব্যের ব্যাখ্যা আছে লিখিত চিঠি দেয়া হয়। দলীয় হাইকমান্ডের দেওয়া চিঠির ব্যাপারে বরাবরই অস্বীকার করে আসছিলেন মির্জা আব্বাস।
[৭] এ বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, মির্জা আব্বাসের ব্যাখ্যা পেয়েছি। এখন তার বক্তব্য দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :