রাশিদ রিয়াজ : [২] সময় ধীরে গড়ায় কি না এছাড়াও বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার জন্যে তারা গুহায় যখন ছিলেন তাদের কাছে মোবাইল ফোন, বাতি বা ঘড়িও ছিল না, বাইরের দুনিয়া থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন ছিলেন তারা।
[৩] দীর্ঘদিন অন্ধকারে থাকার কারণে তারা তাদের চোখের কোনো ক্ষতি এড়াতে বিশেষ ধরনের চশমা ব্যবহার করেন। এদের একজন ৩৩ বছর বয়সী ম্যারিনা ল্যানকন যিনি দলটির ৭ জন নারীর একজন, তিনি বলেন সেখানে কোনো কিছু করার তাড়াহুড়ো ছিল না। মনে হচ্ছিল সকল ব্যস্ততার ইতি ঘটে গেছে।
[৪] ম্যারিনা বলেন গুহা থেকে বের হবার পর আমি খুশি কারণ বাতাসের স্পর্শ আমার মুখে এসে লাগছে, পাখির গান শুনতে এবং সবুজ গাছপালা দেখতে পাচ্ছি।
[৫] ডিপ টাইম প্রজেক্ট নামে এ পরীক্ষায় তাদের ৪০ দিন ও ৪০ রাত কাটানোর মূল্য লক্ষ্য ছিল সময়ের চেতনা ছাড়া কিভাবে কাটে তার উপলব্ধি বের করা।
[৬] গুহায় তাপমাত্রা ছিল ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাইরের কোনো খবর তাদের কাছে পৌঁছেনি। মহামারী, বন্ধু কিংবা পরিবার কারো সঙ্গেই তাদের যোগাযোগ ছিল না।
[৭] ১২ লাখ ইউরো’র এ প্রকল্পের আরেক লক্ষ্য ছিল করোনা ভাইরাস মহামারীজনিত কারণে বিশ্বের অনেক কিছু সম্পর্কিত বা লোকেরা কীভাবে জীবনযাত্রার পরিস্থিতি এবং পরিবেশে গুরুতর পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নেয় তা ঠাহর করা।
[৮] ফ্রান্স ও সুইজ্যারল্যান্ডের বিজ্ঞানীরা ওই ১৫ স্বেচ্ছাসেবীর গুহায় ঘুমের ধরণ, পারস্পরিক আচরণ ও সম্পর্কের ওপর সেন্সরের মাধ্যমে তদারকি করেন।
আপনার মতামত লিখুন :