শামীম আহমেদ: এই করোনাকালীন সময়ে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা তাদের জ্ঞানের প্রতিফলন নানাভাবে ঘটাতে পারেন। [১] পড়ালেখা, গবেষণা, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি তথ্যটি পৌঁছে দিতে পারেন।
[২] জরুরি তথ্যটি পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে মানুষের করণীয় বিষয়ে তাদেরকে সুনির্দিষ্ট দিক-নির্দেশনা দিতে পারেন।
[৩] তথ্যগুলোর মধ্যে যেগুলো মানুষকে আশাবাদী করবে, বাঁচতে শেখাবে, সহায়তা করবে সেগুলো বিশেষভাবে তুলে ধরতে পারেন।
অথবা, [৪] সমাজে চাঞ্চল্য সৃষ্টির জন্য, ফেইসবুকে আলোড়ন তুলবার জন্য মানুষকে আতংকিত করতে পারে এমন তথ্যের উপস্থাপন করতে পারেন। দুঃখজনক হলেও সত্য বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের করোনাকালীন সময়ে দেখলাম মূলত বিদেশি পত্রিকা ও সংবাদ মাধ্যমের তথ্য অনুবাদ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতে। না আছে কোনো বিচার-বিশ্লেষণ, না আছে নিজস্ব জ্ঞানের প্রতিফলন, না কোনো বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি! মানুষকে আশা, ভরসা কিংবা সাহস দেয়া তো দূরের কথা।
অনুবাদক হতে হলে সেবা প্রকাশনীতে যোগাযোগ করেন, জনস্বাস্থ্যের দুর্বল মাঠটাকে আরও দূর্বল করবেন না প্লিজ। ২৪ এপ্রিল ২০২১। ফেসবুক থেকে আমিরুল
আপনার মতামত লিখুন :