মনিরুজ্জামান : [২] সার্বিক পরিস্থিতি ভালো থাকায় এবার সুস্থ মাকে নিয়ে শের- ই বাংলা হাসপাতাল থেকে বাড়িতে ফিড়লেন ঝালকাঠির সেই ব্যাংক কর্মকর্তা জিয়াউল হাসান।
[৩] তিনি জানান, শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে মাকে নিয়ে মোটরসাইকেলে বাড়িতে ফিরে এসেছেন।
[৪] ওই ব্যাংক কর্মকর্তা আরো বলেন, মা তার দৈনন্দিন কাজ করে নামাজ পড়তে পারছেন। খাবারও ঠিকভাবে খেতে পারছেন। তিনি স্বাভাবিক হাঁটাচলা করতে পারছেন।বিষয়টি আমার কাছে খুবই ভালো লাগছে।
[৫] এদিকে, কৃষি ব্যাংকের ঝালকাঠি সদর শাখার সিনিয়র কর্মকর্তা জিয়াউল হাসান তার ফেসবুক আইডি থেকেও একটি পোস্ট দিয়েছেন। তিনি দেশবাসী দেশবাসীর ও মিডিয়ার প্রতি কৃতজ্ঞা প্রকাশ করছেন।
[৬] উল্লেখ্য, ১৭এপ্রিল জিয়াউল হাসান শরীরের সঙ্গে গামছা দিয়ে অক্সিজেন সিলিন্ডার বেঁধে মোটরসাইকেলে করে নিজের মাকে নিয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন। বিকল্প উপায় না থাকায় ঝালকাঠির নলছিটি পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সূর্যপাশা এলাকার বাড়ি থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার দূরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে নিয়ে আসতে হয়।
[৭] ওই কর্মকর্তার মা রেহেনা পারভীন ঝালকাঠির নলছিটি বন্দর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। মায়ের শরীরে প্রথম জ্বর দেখা দেয়।নলছিটিতে ৯ এপ্রিল প্রথম করোনার পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন। কয়েকদিন অতিবাহিত হলেও রিপোর্ট আসেনী।এরপর ১৫ এপ্রিল শেবাচিম হাসপাতালে পুনরায় নমুনা দেই। ১৭ এপ্রিল অক্সিজেন সেচুরেশন লেভেল কমতে থাকে। যার কারণে মাকে নিয়ে মোটরসাইকেলে চেপে অক্সিজেন সিলিন্ডারসহ শেবাচিম হাসপাতালে আসেন তারা।
[৮] তিনি বলেন, ৯ ও ১৫ এপ্রিলের রিপোর্ট ১৭ এপ্রিল রাতে পরপর দুটি আলাদা ম্যাসেজে জানতে পারি। যেখানে ৯ তারিখের রিপোর্টেই মা করোনা পজেটিভ ছিলেন। সেই হিসেবে ১৪ দিনের বেশি হয়ে গেছে তার আক্রান্তের সময়। চিকিৎসাসেবা অব্যাহত রেখে যখন তাকে সুস্থ মনে হয়েছে তখনই তাকে নিয়ে বাসায় এসেছি। কাল হয়তো আবার নমুনা পরীক্ষার জন্য দেবো। তবে মায়ের শারীরিক অবস্থা স্বাভাবিক। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :