সমীরণ রায়: [২] আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, প্রকৃতপক্ষে সরকার নয়, জনগণ মনে করে বিএনপির উসকানিতে একটি উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী গত ২৬ মার্চ দেশের বিভিন্ন স্থানে নরকপুরি বানিয়েছিলো। আন্দোলনের নামে প্রকাশ্যে ও গোপনে বিএনপির আগুন সন্ত্রাসই বর্বরতার নামান্তর।
[৩] তিনি বলেন, জনগণের ওপর প্রতিশোধ নিতে বিএনপিই এখন বর্বরতা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা ২০০১ সালে নির্বাচনের পর সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর বর্বরতা চালিয়েছিল। তেমনি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে। জনগণের সহায়তায় সরকার সাম্প্রদায়িক দানবীয় অপশক্তিকে মোকাবেলা করেই এগিয়ে যাচ্ছে। অন্ধকারের অপশক্তির কালো হাত ভেঙে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।
[৪] সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, জন্মলগ্ন থেকে মানুষের পাশে থেকে আস্থা অর্জন করা রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ। করোনা সংকটেও সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ সারাদেশের অসহায়, খেটে খাওয়া মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। শেখ হাসিনার নির্দেশে জনপ্রতিনিধি ও দলের নেতাকর্মীরা শুধু সুরক্ষা সামগ্রী নয়, নগদ অর্থ ও খাদ্য সহায়তা নিয়েও মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। করোনাকে পরাজিত না করা পর্যন্ত দুস্থ, অসহায়দের মধ্যে নগদ অর্থ ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
[৫] তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এখন দুইটি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। প্রথমটি হচ্ছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলা। দ্বিতীয়টি জীবীকার জন্য খেটে খাওয়া মানুষের পাশে দাঁড়ানো। দলীয় নেতাকর্মীদের প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ সেবা দিতে হবে। এই মূহুর্তে দলের কর্মী হিসেবে নয়, দেশের কর্মী হিসেবে কাজ করার আহবান জানান তিনি।
[৬] শুক্রবার সকালে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত অসহায়, কর্মহীন মানুষের মধ্যে ইফতার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তার সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি তিনি এসব কথা বলেন।
[৭] রাজধানীর পোস্তগোলায় ইফতার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী এবং ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির।