বিনোদন ডেস্ক: মডেলিং, তাও হিজাবেরর সঙ্গে, হ্যাঁ এখন রথি নামটা এ কারোণেই দেশের শোবিজ অঙ্গনে আলোচিত। টিকটকের মাধ্যম দিয়ে আলোচনায় আসেন রথি। এরপর নিজেকে প্রকাশ করেন একজন মডেল ও ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে। রথি এখন অনেকের কাছে অনুপ্রেরণার নাম। সোশ্যাল মিডিয়াতেও বেশ জনপ্রিয় তিনি।
২০১৭ সাল থেকে পথচলা শুরু হলেও শোবিজে তার পরিচিতি বাংলাদেশের ‘হিজাবি মডেল’ হিসেবে। এই রথি আহমেদই বাংলাদেশের প্রথম টিকটকার যিনি কিনা নানা ব্র্যান্ডের ইনফ্লুয়েন্সার হিসাবে কাজ করেছেন।
মডেলিঙের বাইরে রথি একটি নামি কম্পানির হিজাব রিচার্জ শ্যাম্পুর মডেল হিসাবেও কাজ করেছেন দীর্ঘদিন। বাংলাদেশ যখন ইনফ্লুয়েন্সদের জন্য একটা স্বর্গরাজ্য হতে চলেছে, তখন রথির পথ চলাটা সহজ ছিল না মোটেও। তবুও শত প্রতিকূলতা পার করেই উঠে এসেছেন তিনি। আলাপে সেসব বিষয়ে জানান রথি।
প্রথম হিজাব মডেলিং শুরু করা নিয়ে রথি আহমেদ বলেন, 'আমাকে যখন একটি বিজ্ঞাপনের জন্য চূড়ান্ত করা হলো তখন তারা আমাকে জানায়, ক্যামেরার সামনে আমাকে খোলা চুলে থাকতে হবে। হিজাব ছাড়া নাকি আমাকে স্ক্রিনে দেখতে ভালো লাগবে। তখন আমি ভাবি, তাহলে কি হিজাব পরে কাজ করা যাবে না! আমি যেমন তেমনই থাকবো। এরপর আমি অনেকগুলো ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করেছি, সবগুলোতে হিজাব পরেই করেছি।'
রথি বলেন, ‘আমি ছোটবেলা থেকেই হিজাব পরি। যখন বুঝতে শিখলাম তখন থেকেই ভেবেছি- আমি যে কাজই করব হিজাব পরেই করব। সেখান থেকেই এই জায়গায়। হিজাব পরা নিয়ে আমার ফ্যামিলি থেকে কোনো চাপ ছিল না। আমি নিজের ইচ্ছাতেই হিজাব পরা শুরু করি।’
বর্তমান কাজের ক্ষেত্র নিয়ে রথি বলেন, এখন কাজ করছি ট্রাভেল ভিডিও বানানো নিয়ে। কেননা এটা মেয়েদের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ। আমার ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিজের একটা রেস্টুরেন্ট, একটা ফ্যাশন হাউজ করার। এখন যেহেতু ফ্যাশন ক্লথিং নিয়ে পড়ছি, তাই মনে করি আমার ইচ্ছাটা পূরণ হবে।’