ডেস্ক রিপোর্ট : টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে রমজানের মধ্যেও ২২ ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎবিহীন ১৫ হাজার গ্রাহক। বুধবার (২১ এপ্রিল) রাত ৯টা থেকে বৃহস্পতিবার বিকাল ৬টা পর্যন্ত যমুনা ফিডারে বিদ্যুৎ পায়নি গ্রাহকরা। ফলে গরমের মধ্যে ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাচ্ছে রোজাদাররা। তবে কখন নাগাদ বিদ্যুৎ মিলবে তাও সঠিকভাবে বলতে পারছে না কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, বুধবার রাত ৯টার দিকে ঝড়-বৃষ্টি হওয়ায় ডালপালা পড়ে লাইনে সমস্যা হয়েছে। রাতেই উপজেলার কিছু অংশ বিদ্যুৎ সংযোগ পায়। তবে ভূঞাপুর গ্রিডের যমুনা ফিডারে রাত পেরিয়ে দিন গড়িয়ে গেলেও বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত বিদ্যুতের দেখা মেলেনি। ফলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে গ্রাহকরা। কখন নাগাদ বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে তা নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা।
গ্রাহকদের অন্ধকারে রেখে বুধবার রাতেই ভূঞাপুর থেকে নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মেহেদী হাসান ভূঁইয়া রেস্টের জন্য চলে যান টাঙ্গাইল রেস্ট হাউজে। পরে সকাল ৯টার দিকে যে গাড়ি দিয়ে লাইনের মেরামত কাজ চলছিল সে গাড়ির ড্রাইভার আনোয়ার হোসেন গাড়ি নিয়ে চলে যান টাঙ্গাইল রেস্ট হাউজে। উদ্দেশ্য নির্বাহী প্রকৌশলীকে অফিসে নিয়ে আসা। ফলে লাইন মেরামতের কাজ বন্ধ থাকে দুই ঘণ্টা। নির্বাহী প্রকৌশলীদের স্টেশনে অবস্থান করার কথা থাকলেও তিনি থাকেন না।
গ্রাহকদের অভিযোগ, লাইনের কাজ বন্ধ রেখে নির্বাহী প্রকৌশলীকে গাড়ি দিয়ে নিয়ে আসা সত্যিই অমানবিক। রমজানে ২২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে আমরা বিদ্যুৎ পাইনি। রোজার মধ্যে এটা খুবই কষ্টদায়ক। কখন বিদ্যুৎ পাবো তাও বলতে পারছে না কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে ভূঞাপুর বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মেহেদী হাসান ভূঁইয়া বলেন, গাড়ি দিয়ে আমার যাতায়াতের জন্য মেরামত বন্ধ থাকেনি। যতো দ্রুত সম্ভব বিদ্যুৎ দেয়ার চেষ্টা করছি। আরটিভি