সাইফুদ্দিন আহমেদ নান্নু: আমাদের টিভিগুলো বলছে মানুষ লকডাউন মানছে না,উপেক্ষা করছে। আমার প্রশ্ন হচ্ছে,মিডিয়া স্বাভাবিক সময়ের সঙ্গে তুলনা করে দেখাক কতো শতাংশ মানুষ এখন রাস্তায় আর কতো শতাংশ মানুষ এখন স্বেচ্ছায়ই হোক আর অনিচ্ছাতেই হোক বাড়িতে আছেন। এটা সত্য,নির্মমসত্য শহরের শ্রমজীবী মানুষেরর অনেকেই পেটের তাগিদে রাস্তায়। কই তারা যে লকডাউনে কোনো দিক থেকেই সাহায্য পাচ্ছে না সেটার জন্য তো স্পেশাল কোনো নিউজ আইটেম একটি টিভিতেও দেখলাম না, খালি দেখছি, শুনছি মানুষ লকডাউন মানতে চাইছে না, মানছে না।
লকডাউনের অবস্থা যতো খারাপই হোক এখনও তা ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ মানুষকে ঘরে রাখতে পেরেছে। আপনারা রাস্তায় যে মানুষ দেখছেন, রিক্সা অটোবাইক দেখছেন মিলকারখানা,গার্মেন্ট বন্ধ থাকলে তার সিকিও দেখতেন না। এগুলো যে খোলা কারখানার মালিকরা নিজস্ব পরিবহন দিয়ে তাদের আনবে নেবে বলে কথা দিয়েছিলো, তারা সেটা করেনি, করলে রাস্তায় ভিড় কম হতো। ভাবুন একবার ঢাকা শহরসহ বড় বড় শহরের শপিংমল মার্কেট, অফিস খোলা থাকলে প্রতিদিন কতো লক্ষ লোককে রাস্তায় দেখতেন, শপিংমলে দেখতেন সে হিসাবটা মেলান।
আপনাদের এই নেতিবাচক রিপোর্টিং লকডাউনকে ধীরে ধীরে অকার্যকর করছে। লকডাউন নিয়ে সাধারণ মানুষের যে প্রতিক্রিয়াকে আপনারা হাইলাইট করছেন সেটা মূলত লকডাউন বিরোধী জনমতকে উষ্কে দিচ্ছে। ভাবুন একবার। লকডাউনের পক্ষে কথা বলুন, লকডাউনে অসহায়, কর্মহীন মানুষদের সরকারি বেসরকারি সহায়তা না পাবার কথা জোরে বলুন, বিত্তবানদের সহায়তার জন্য উদ্বুদ্ধ করুন। এটিই সময়ের চাহিদা, বাস্তবতা। ফেসবুক থেকে