কামাল হোসেন : [২] এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী বুধবার (২১ এপ্রিল) গোয়ালন্দ ঘাট থানায় একটি ধর্ষণ চেষ্টার মামলা দায়ের করেছেন।
[৩] এ ঘটনায় পুলিশ মামলার একমাত্র আসামি মো. নজরুল শিকদারকে (৪০) গ্রেফতার করেছে।
[৪] সে পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের নছর উদ্দিন সরদার পাড়ার আহম্মদ আলীর ছেলে। বিধবা ওই মহিলা নজরুল শিকদারের ফার্মে শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে এলাকার প্রভাবশালীরা শালিস-বৈঠকের আয়োজন করে।কিন্তু মহিলা লোক দেখানো শালিস না মেনে থানায় মামলা করেন।
[৫] মামলার এজাহারে ওই নারী উল্লেখ করেন, ৫ বছর আগে তার স্বামী মারা যান। দুই ছেলেমেয়ে নিয়ে খুব কষ্টে দিন কাটান। এক পর্যায়ে দেড় বছর আগে গ্রামের নজরুল শিকদারের ফার্মে কাজ নেই। কাজের শুরু থেকেই আমার উপর তার কু-নজর পড়ে।
[৬] সম্প্রতি তার প্ররোচনায় পড়ে বিয়ের আশ্বাসে তাকে বিশ্বাস করতে শুরু করি। এ অবস্থায় গত ৫ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে সে আমাকে ফার্মের অফিস রুমে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। আমি বিয়ের আগে শারিরীক সম্পর্ক না করার কথা বললে সে দ্রুতই আমাকে বিয়ে করবে বলে আশ্বস্ত করে। কিন্তু আমি তাকে বিশ্বাস না করে কোনমতে সেখান থেকে নিজেকে রক্ষা করে চলে আসি।
[৭] ঘটনার দুইদিন পর ৭ এপ্রিল ফার্মে কাজে গিয়ে তার মুখোমুখি হই। তাকে বিয়ের কথা বলি। এ পর্যায়ে সে আমাকে সরাসরি না বলে দেয়।
[৮] বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে গ্রামের লোকজন শালিসের মাধ্যমে মিমাংসা করে দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু আমি সেই শালিস মনোপুত না হওয়ায় মানিনি। আমি তার কঠিন শাস্তি চাই।
[৯] এ প্রসঙ্গে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর জানান, অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :