শাকিল আহমেদ: জীবিকার চেয়ে জীবন বাঁচানো জরুরি ; তাই লকডাউন বাড়ানোই দরকার। কিন্তু পেটে ক্ষুধা থাকলে লকডাউন সত্যি মানতে পারবে মানুষ? তারা যদি না মানেন, আমি-আপনি নিরাপদ থাকবো? দেশে দিন আনে দিন খান এমন মানুষের সংখ্যা ১ কোটি ৬ লাখ। এর সঙ্গে বন্ধ দোকানপাট শপিং মল-সহ অনানুষ্ঠানিক সেবা খাতে ২ কোটি ৩৭ লাখ মানুষ রয়েছেন, লকডাউনে এসব বন্ধ থাকায় জীবিকার আঘাত তারা কতোদূর সইতে পারবেন। সরকার ৩৬ লাখ পরিবার অর্থাত কোটি খানেক অতিদরিদ্র মানুষের জন্য পরিবার প্রতি আড়াই হাজার টাকা করে দেবে। ভালো। কিন্তু যথেষ্ট কি?
আর কলকারখানা খোলা থাকছে নতুন ধান ওঠার মৌসুম শুরু হচ্ছে, এতেও রক্ষা পেয়ে যাবেন আরও কোটি দেড়েক মানুষ। কিন্তু টানা করোনায় বিপর্যস্ত অর্থনীতির পর কোটি দেড়েক দুয়েক মানুষ আসলে সকল সহায়তার বাইরে রয়ে যাবেন। তারা আমার আপনার চারপাশেই রয়েছে। চাইলেই আমরা জীবনের সেরা কাজটি এখন করতে পারি। দোকান বন্ধ থাকলেও কর্মচারীদের বেতন দিয়ে দিতে পারি, বেতন দিয়ে দিতে পারি পরিবহন শ্রমিকদের। বাসা ভাড়া অর্ধেক বা মওকুফ করতে পারি। পুই শাক কিনে বিরাট দাম না করতে পারি। স্থানীয় কাউন্সিলর মেম্বার সামাজিক সংগঠনগুলোকে উৎসাহ দিতে পারি করোনা সুরক্ষা রেখে তারা যেন খাদ্য সহায়তার উদ্যোগ নেন। কারণ করোনার শিক্ষা এটাই, সবাই মিলে না বাঁচলে আমরা কেউ রক্ষা পাব না। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :