শিরোনাম
◈ সালমান এফ রহমানের বাসায় নৈশভোজে ডোনাল্ড লু ◈ সুশীল সমাজের সঙ্গে বৈঠক করেছেন সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ◈ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় আরও পাঁচ নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি ◈ ঢাকার ২৬টি হোটেল-রেস্তোরাঁয় পুলিশ সদস্যদের জন্য মূল্য ছাড়  ◈ বনানীর আগে বাসে যাত্রী তুললেই মামলা: ডিএমপি কমিশনার ◈ লু’র সফরকে কেন্দ্র করে ওবায়দুল কাদের সাহেবরা অস্থিরতায় ভুগছেন: রিজভী ◈ ‘জেনোসাইড জো’: যেভাবে যুক্তরাষ্ট্রের বিক্ষোভ বাইডেনের পুনর্নির্বাচনকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে ◈ গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড দেশের ওপর ঋণের বোঝা বাড়াচ্ছে: টিআইবি ◈ খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সাবেক বাপেক্স এমডির সাক্ষ্য ◈ তাসকিনকে সহ অধিনায়ক করে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দল ঘোষণা

প্রকাশিত : ১৮ এপ্রিল, ২০২১, ০৪:৩২ সকাল
আপডেট : ১৮ এপ্রিল, ২০২১, ০৪:৩২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মঞ্জুরুল আলম পান্না:কেন আমরা করোনায় মৃত্যু সংখ্যা এতোটা সহজভাবে, গড়পরতায় লিখে ফেলছি?

মঞ্জুরুল আলম পান্না: বাংলাদেশসহ বিশ্ব গণমাধ্যমে একটি খবর আজ জায়গা করে নিয়েছে গুরুত্বের সঙ্গে! শিরোণামও প্রায় একই- ‘করোনা প্রাণ নিলো ৩০ লাখ মানুষের।’ সত্যিই কী শুধু ‘করোনা’র কারণেই এই ৩০ লাখ মানুষের মৃত্যু হলো? এই একটা মাত্র সংবাদ এবং সংবাদের শিরোণাম নিয়ে সাংবাদিকতার নতুন ‘পাঠ্য অধ্যায়’ সৃষ্টি হতে হতে পারে, গবেষণা চলতে পারে, বিতর্কও হতে পারে। কেন আমরা করোনায় মৃত্যু সংখ্যা এতোটা সহজভাবে, গড়পরতায় লিখে ফেলছি? প্রকৃত তথ্য তুলে ধরতে গণমাধ্যমের দায় কতোখানি? মানুষকে আকৃষ্ট করতে গণমাধ্যম ভুল তথ্যকে কতোটা গুরুত্বের সঙ্গে অবলীলায় প্রকাশ করে যাচ্ছে? এবং কেন যাচ্ছে? ধরুন, আমি জটিল কিডনী রোগে আক্রান্ত। সপ্তাহে দুইবার ডায়ালাইসিস করতে হয়। হার্টের রোগও রয়েছে। বয়স ৭০। রাস্তায় হাটতে গিয়ে হঠাৎ-ই হোঁচট খেয়ে মারা গেলাম। কী বলা হবে? আমি রাস্তায় ধাক্কা খেয়ে মারা গেছি? এমন অসংখ্য উদাহরণওতো রয়েছে। যেমন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরি। করোনা আক্রান্ত হয়ে তিনি সুস্থও হয়েছেন। ৮৬ বছরের এই মানুষটি এখন মারা গেলে বলা হবে তিনি কিডনি রোগে মারা গেছেন। করোনা আক্রান্তের সময় মারা গেলে বলা হতো, তিনি করোনাতে মারা গেছেন। গত প্রায় দেড় বছরে বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা গোনা হচ্ছে একইভাবে। অর্থাৎ কারোর একাধিক কোনো জটিল রোগ থাকার পরও শেষ সময়ে করোনাতে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে তাকে তালিকাভূক্ত করা হচ্ছে করোনা মৃত্যুতে।

দেশ-বিদেশের গণমাধ্যমও সেভাবে লিখছে, বলছে। আমার ক্ষুব্ধ মস্তিষ্কে কখনই ঢোকে না, এমন সব মৃত্যুকে আমরা করোনা সংক্রান্ত মৃত্যুর হিসেবের মধ্যেই ফেলছি কেন? এই প্রশ্ন নিয়ে খুব বেশি আলোচনা কোথাও হয়নি। না চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের কাছ থেকে, না গণমাধ্যম থেকে। সেই যে শুরুতে কোনো কোনো গণমাধ্যমে এভাবে লেখা শুরু হলো, সেই থেকে চলছে আজ অবধি। কেউ ভাবলো না, চলমান বিশ্বে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে সাধারণ মানুষকে আমরা ভুল তথ্য দিচ্ছি কিনা? এই যে ৩০ লাখ মানুষের মৃত্যুর কথা বলা হচ্ছে সোজাসাপ্টা করোনা আক্রান্তের কারণে, এই সংবাদ থেকে বিশ্ববাসী যতোটা না ভুল ম্যাসেজ পাচ্ছে, তার চেয়ে অনেক বেশি ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে চিকিৎসা বিজ্ঞানের অনেক হিসেব নিকেষে। অনেক বেশি ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে সাংবাদিকতা বিদ্যায়। গণমাধ্যম যেকোনো বড় ভুলকেও প্রতিষ্ঠিত করে তুলতে পারে খুব সহজে। আগে থেকে জটিল রোগে আক্রান্ত কতোজন করোনায় মারা গেছেন, আর শুধু করোনাতে মারা গেছেন, সংবাদের এই বিশ্লেষষণটি বিশ্ব গণমাধ্যম কিংবা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষে কী কষ্টসাধ্য ছিলো? লেখক : সাংবাদিক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়