সমীরণ রায়: [২] বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন আরও বলেন, করোনার ক্ষেত্রে সরকারের এতদিনের পদক্ষেপ ছিল অস্পষ্ট ও দ্বিধান্বিত। হেফাজতের ক্ষেত্রেও তাই। দেশবাসী আশা করে, সরকার এবার উভয় মহামারির বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেবে। অন্যথায় করোনায় মানুষের যেমন প্রাণ যাবে, তেমনি হেফাজতের সন্ত্রাসের বিস্তার সারা দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলবে। তাই মাহে রমজান ও বাংলা নববর্ষ এই দুই বিপদকে ঝেটিয়ে দেশ থেকে বিদায় করবে। রমজানে মানুষের চিত্ত হোক শুদ্ধ। আর বৈশাখী ঝড় করোনাভাইরাসকে উড়িয়ে নিয়ে যাক। শুচি হোক ধরা।
[৩] তিনি বলেন, লকডাউনে সারাদেশের কলকারখানা বন্ধ থাকলেও, মালিকদের কাছে আত্মসমর্পণ করে সরকার শিল্প-কারখানা খোলা রাখার কথা বলেছে। কিন্তু গতবারের মত এবারও শ্রমিকদের দায় নেয়নি। শ্রমিকদের জন্য বরাদ্দকৃত গতবারের তহবিলও অব্যবহারিত রয়ে গেছে। আর মালিকরা প্রণোদনার টাকা পাচ্ছে। তিনি সরকারের পাশাপাশি ওয়ার্কার্স পার্টির কর্মীদেরও গতবারের মত জনগণের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
[৪] মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে রমজান ও করোনা লকডাউনকে সামনে রেখে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ঢাকা মহানগর আয়োজিত মানববন্ধনে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
[৫] ঢাকা মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি আবুল হোসাইনের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কিশোর রায়, নারী মুক্তি সংসদের নেত্রী শাহানা ফেরদৌসি লাকী প্রমুখ।