শিরোনাম
◈ সরকারি দপ্তরগুলোতে গাড়ি কেনা ও বিদেশ সফরে কড়াকড়ি: কৃচ্ছ্রনীতির অংশ হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা ◈ ২১ বছর বয়স হলেই স্টার্ট-আপ লোনের সুযোগ, সুদ মাত্র ৪%: বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা ◈ ঢাকায় একটি চায়না টাউন প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে: আশিক চৌধুরী ◈ তিন বোর্ডে বৃহস্পতিবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত ◈ এসএসসির ফল নিয়ে যে বার্তা দিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা ◈ সৈক‌তের কা‌ছে দু:খ প্রকাশ ক‌রে‌ছেন ‌বি‌সি‌বির প্রধান নির্বাচক  ◈ ভারত সরকারকে আম উপহার পাঠাল বাংলাদেশ ◈ পুলিশের ঊর্ধ্বতন ১৬ কর্মকর্তা বদলি ◈ কল রেকর্ড ট্রেলার মাত্র, অনেক কিছু এখনো বাকি, অপেক্ষায় থাকুন: তাজুল ইসলাম ◈ জাতীয় নির্বাচনের সব প্রস্তুতি ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা : প্রেস সচিব

প্রকাশিত : ১৩ এপ্রিল, ২০২১, ০৫:৫৬ সকাল
আপডেট : ১৩ এপ্রিল, ২০২১, ০৫:৫৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রুমি আহমেদ: বাংলাদেশে কি এখন বেশ কয়েকটা ফিল্ড হাসপাতাল খোলার সময় হয়নি?

রুমি আহমেদ: বাংলাদেশে কি এখন বেশ কয়েকটা ফিল্ড হাসপাতাল খোলার সময় হয়নি? যেভাবে খোলা হয়েছিল বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে গত বছর। এই হাসপাতাল গুলোতে দরকার খালি চারটা জিনিস- মাথার ওপর ছাদ, জনপ্রতি একটা বিছানা, পর্যাপ্ত অক্সিজেন সাপ্লাই আর প্রেডনিসোলোন ট্যাবলেট। বাংলাদেশ সরকারের একটা কোভিড টাস্ক ফোর্স আছে - তারা কি এখনও বিদ্যমান আছেন? ওখান থেকে একটা নির্দেশনা কি আসতে পারে না, যে কোভিড টেস্ট পজিটিভ হলেই মুড়িমুড়কির মতো সিটি স্ক্যান চেষ্ট, সিআরপি, ফেরিটিন, ডিডাইমার ইত্যাদি ব্লাড টেস্ট করার কোনো দরকার নেই? কে বলবেন কোভিড নেগেটিভ হলো কিনা দেখার জন্য টেস্ট করে, টেস্ট কিট নষ্ট করার দরকার নেই। আমাদের মুরুব্বি চিকিৎসক কেউ কি নেই যে একটু জোর গলায় বলতে পারেন কোভিড পজিটিভ হলেই সবাইকে লম্বা একটা ঔষুধের ফর্দ লিখে দেবার দরকার নেই? কেউ কি একথাগুলো মাইক নিয়ে একটু বলবেন কোভিডে মোনাস, ফেক্সো, জিঙ্ক, ভিটামিন ডি, সি, এজিথ্রোমাইসিবি/ ডক্সিসাইক্লিন, স্ক্যাবো, আভিগান, ক্ল্যাকসেন, রিভোকসিরিবান ইত্যাদি ঔষধগুলোর কোনো প্রয়োজন নেই? এর মধ্যে কিছু কিছু ঔষধ বেশ ক্ষতিকর ও হতে পারে?  হাসপাতালে ভর্তি রোগী ছাড়া ক্ল্যাকসেন অপ্রয়োজনীয় ও রিস্কি?

আমাদের কি এই পাবলিক হেলথ সার্ভিসটা দেওয়ার একজনও লোক নেই, যে বলতে পারবেন যে কোভিড এ একটি ঔষধই প্রয়োজন হয় এবং তা কাজ করে রোগীর অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৯৪ শতাংশ এর নিচে নেমে গেলে। এর আগে না এবং এই ঔষধটি হচ্ছে প্রেডনিসোলোন বা ডেক্সামেথাসোন। এর বাইরে আর কোনো কার্যকরী ঔষধ নেই। বাকি লম্বা ওষুধের ফর্দ লিখে আপনার শারীরিক ও আর্থিক ক্ষতি করা হচ্ছে। প্রশ্ন করার কি কেউ নেই- কোন বিবেকে যুক্তিতে টেস্ট ইত্যাদি না করে রোগীকে এলটিপ্লেজ নামের ভয়ঙ্কর রিস্কি ওষুধ দেওয়া হয়? মেরোপেনেম টাইপের এ্যান্টিবায়োটিক আমাদের লাস্ট রিসোর্ট- লাস্ট এ্যান্টিবায়োটিক। আর সব এ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স হয়ে গেলে খুব সিলেকটিভ কেইসে এটা ইউজ করার কথা।

এটার রেজিস্ট্যান্স ডেভলপ হয়ে গেলে, রেজিস্ট্যান্স ব্যাকটেরিয়ার সাথে যুদ্ধ করার জন্য আমাদের হাতে আর কোনো অস্ত্র থাকবে না। রোগী হাসপাতালে ভর্তি হতে না হতেই কেন গণহারে মেরোপেনেম শুরু করে দিতে হবে? টোসিলিজুম্যাব দামি ওষুধ- খুব সিলেক্ট কেইসে এক ডোজ বা খুব বেশি হলে দুডোজ দেওয়া যায় অল্প কিছু রোগীকে, কিন্তু ডেইলি টোসিলিজুম্যাব- এই বিজ্ঞান টার আবিষ্কার কোথায় কবে হলো? একথা বলার কি কেউ নেই কভিডের ৯০ শতাংশ এর বেশি রোগীর কোনো সিমটম হবে না ও কোনো ওষুধ লাগবে না? কে বলবেন কোভিড প্রতিরোধে  শুধু লাগবে ডাবল মাস্ক পড়া নাক মুখ ঢেকে আর ইনডোর গ্যাদারিং পরিহার করা? প্রতিদিনই একজন দুজন করে পরিচিত মানুষ মারা যাচ্ছেন। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়