মনজুর অনিক: [২] ফেসবুকের পোস্ট, ভিডিও ফুটেজ ছাড়াও তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামিদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে জেলা পুলিশ।
[৩] হেফাজতের ডাকা হরতাল ও মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধের ঘটনায় করে হামলা, ভাংচুর, সড়কে অগ্নিসংযোগ ,অবরোধের ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ ও সোনারগাঁ থানায় পুলিশ, র্যাব, সাংবাদিক, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, পরিবহন মালিকরা বাদী হয়ে মামলা করেছেন।এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশাসন মোস্তফিজুর রহমান।
[৪] ২৮ মার্চ হেফাজতের ডাকা হরতালের দিন সিদ্ধিরগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ, যানবাহনে ভাংচুর, সাংবাদিকদের মারধরের ঘটনা ঘটে।
[৫] এই ঘটনায় র্যাব ও পুলিশ বাদী হয়ে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে সরকারি কাজে বাধা দেওয়াসহ নানা অভিযোগে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ছয়টি মামলা করে। হরতালের দিন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবহন মালিকদের আরও তিনটি মামলা ওই থানায় রুজু করা হয়। এইসব মামলায় এজাহারনামীয় ছাড়াও কয়েক হাজার অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
[৬] এদিকে ৩ এপ্রিল সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে হেফাজতের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করে রাখার প্রতিবাদে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ, ওই রিসোর্ট ও আওয়ামী লীগ কার্যালয় ভাংচুর, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে।
[৭] স্থানীয় এক সাংবাদিককে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ফেসবুক লাইভে এসে নির্যাতনের মুখে মামুনুল হকের কাছে ক্ষমা চাওয়াতে বাধ্য করার ঘটনাও ঘটে। এইসব ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় পুলিশ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, সাংবাদিক পৃথক আটটি মামলা দায়ের করে।
[৮] রোববার সকালে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশাসন মোস্তাফিজুর রহমান এক বার্তায় জানান, দুই থানার ১৭ মামলায় এখন পর্যন্ত ৫১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তথ্য ও প্রযুক্তির মাধ্যমে অন্য আসামিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জন্য বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে পুলিশ। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :