মহিউদ্দিন আহমদ: করোনা যেভাবে ছড়াচ্ছে, সত্যিকার লকডাউন হবে আইডিয়াল। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। যারা সরকারি বা করপোরেট সেক্টরে কাজ করেন, তারা ঘরে বসেও বেতন-ভাতা পান বা পাবেন। তারা পাইকপেয়াদা পাঠিয়ে বাজার-সদাইও করাতে পারেন। এদের সংখ্যা নগন্য। বেশিরভাগ মানুষ স্বনিয়োজিত, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, ইনফরমাল সেক্টরের শ্রমজীবী। বাড়িতে বসে থাকলে তাদের চলে না। সেজন্য তাদের বেরোতে হয়।
পশ্চিমের অনেক দেশে নাগরিকদের কাছে রাষ্ট্র নানান সুবিধা পৌঁছে দিচ্ছে, বিশেষ করে টাকা। যার যার দারকার মতো তারা অনলাইনে পণ্য কিনে আনছে। আমাদের দেশে সে রকম ব্যবস্থা নেই। আছে বাগাড়ম্বর, নির্দেশনা আর হুংকার। ছোট্ট একটা দেশে ষোলো-সতের কোটি মানুষ গিজগিজ করছে। দুনিয়ায় এমন দেশ আর নেই। যার পেটে ভাত নেই, তাকে আপনি সোশ্যাল ডিসট্যান্স বোঝাবেন? গরিবের জন্য যা-ও বরাদ্দ, তার কাছে যেতে যেতে সেটাও হাওয়া হয়ে যায়। বাহাত্তরে স্লোগান ছিলো, রিলিফ চোরার গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথে। অবস্থা তো এখনো সে রকমই আছে। মাঝখানে কিছু লোক গায়ে-গতরে মোটা হয়েছে। ফেসবুক থেকে