আসাদুজ্জামান বাবুল: [২] কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন সাপেক্ষে দোকানপাট ও শপিংমল খোলা রাখার প্রঞ্জাপন সরকার থেকে জারি করা হলেও তা মানছেননা গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার মানুষ।
[৩] সরকার ঘোষিত প্রঞ্জাপনকে তোয়াক্কা না করে যথারীতি প্রকাশ্য রাস্তার উপর দোকানপাট বসিয়ে মাস্ক বিহীন খোলামেলা ভাবে বেচাকেনা করে যাচ্ছে তারা।
[৪] স্থানীয় প্রশাসনের চোখের সামনে এমনিভাবে খোলামেলা কেনাবেচা করা হলেও অজ্ঞাত কারনে এড়িয়ে যাচ্ছেন তারা।
[৫] বন্ধর হিসেবে পরিচিত কোটালীপাড়ার ঘাঘর বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা মাক্সবিহীন নিজ নিজ দোকানপাট খুলে মাস্কবিহীন ক্রেতাদের কাছে মালামাল বিক্রী করে যাচ্ছে। বিষয়টি দেখার কেউ আছে বলেও মনে হয়নি। থানা পুলিশের একশ গজ দুরে ঘাঘর বাজারেও চোখে পড়েনি প্রশাসনের কোন লোককে। এমনকি থানার প্রধান গেটের সামনে রাস্তার পাশে প্রকাশ্য মাস্কবিহীন কেনাবেচা করলেও মাথা ব্যথা নেই পুলিশ প্রশাসনের।
[৬] নিত্যপ্রয়োজনীয় মালামালের দোকানপাট ছাড়াও কাপড়ের দোকান,স্বর্নের দোকান, কসমেটিস্ক এর দোকানসহ সব ধরনের দোকানপাট খোলা রয়েছে। প্রতিটি দোকানেই ক্রেতাদের উপচেপড়া ভীড় ছিল চোখে পড়ারমতো।
[৭] তবে,ব্যতিক্রম লক্ষ করা গেছে গোপালগঞ্জ জেলা শহরে। গোপালগঞ্জ জেলা শহরে কিছু কিছু দোকানপাট খোলা থাকলেও ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের মাস্ক ব্যবহার করতে দেখা গেছে।
[৮] গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা আমাদের এ প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন, সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে আমরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গেঁ নিয়ে মাঠে কাজ করছি। মানুষকে সচেতন করতে সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। কেউ যদি সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। সম্পাদনা: সাদেক আলী