শুভ কামাল: আগে বাংলাদেশে মিছিল, হরতাল, ভাঙচুর ইত্যাদিতে টোকাইদের ব্যবহার করা হতো। টোকাইদের পঞ্চাশ টাকা দিলে তারাই পিকেটিং করতো। এখন টোকাইয়ের যুগ নেই। এখন আছে বিশেষ এক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র শিক্ষকেরা। এতে তাদের রাজনৈতিক ফায়দা হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু তাদের সম্মানটা কোথায় গিয়ে ঠেকছে? আমি নিজেই কোনোদিন ভাবিনি হুজুরদের নিয়ে এভাবে লিখবো, এতো ঘেন্না আসবে তাদের কাজ কামের প্রতি। এখন লোকে তাদের চিনে পেছন দিকের যোদ্ধা বলে, হোটেলবাজ বলে। কিন্তু মানুষের যে এই নেগেটিভ মনোভাব বাড়ছে দিন দিন, এর জন্য কারা দায়ী?
অন্য যেকোনো রাজনৈতিক দলের গুন্ডাপান্ডাদের মতো কাজ করলে, ভাঙচুর করলে, জনগণের ক্ষতি করলে লোকে তো তাদের সেই হিসাবেই দেখবে। সম্মানের জায়গাটা থাকবে কীভাবে। কিছু পেতে হলে কিছু দিতে হয়। তারা পাচ্ছেন রেলের জমি, পাচ্ছেন উট, কিন্তু বিনিময়ে দিয়ে দিচ্ছেন নিজেদের সম্মান। একদিকে প্রাণও যাচ্ছে, সম্মানও যাচ্ছে। কিন্তু এতে লাভ হচ্ছে কাদের? তাদের নেতাদের। নেতারা কিন্তু ঠিকই এই সময়ে হোটেলবাজি করছে যখন তারা জীবন দিচ্ছে রাস্তায়।
হেফাজত আসার আগে বাংলাদেশের হুজুরদের কেউ এভাবে গালি দেওয়ার সাহস পায়নি। গালি দেওয়ার টপিকই পায়নি। যখন তারা ধর্মকে ব্যবসার মূলধন হিসেবে ব্যবহার শুরু করলো তখন থেকেই পতনের শুরু, যেভাবে আগাচ্ছে, একসময় হয়তো হুজুর আর পাড়ার মাস্তানের কোনো তফাৎই থাকবে না। ফেসবুক থেকে