আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২] দমন-পীড়ন সত্ত্বেও মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থীরা সেনাশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছেন। বিক্ষোভ দমানোর উপায় হিসেবে শক্তি প্রয়োগের পাশাপাশি ইন্টারনেটও বন্ধ করেছে দেশটির জান্তা। সেনা অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৫৮০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। নিহত লোকজনের মধ্যে শিশুরাও আছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষকে। অধিকার সংস্থা অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স (এএপিপি) এ তথ্য জানিয়েছে। রয়টার্স
[৩] মিয়ানমারের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কালে শহরে বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। সেখানে পাঁচজন নিহত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে স্থানীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানায়, কালে শহরে বারবার গুলির শব্দ শোনা যায়। এই গুলিতে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
[৪] ইয়াঙ্গুনের কাছের বাগো শহরেও গুলির ঘটনা ঘটে। এতে দুই বিক্ষোভকারী নিহত হন। ইয়াঙ্গুনে চীনের মালিকানাধীন একটি কারখানায় আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। তারা চীনের পতাকাও পুড়িয়েছেন। গার্মেন্টস কারখানাটিতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় হতাহতের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া ক্ষয়ক্ষতিরও বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি। গত মাসে চীনা বিনিয়োগ রয়েছে, এমন ৩২টি কারখানায় আগুন দেন বিক্ষোভকারীরা।
[৫] মিয়ানমারজুড়ে বিক্ষোভ, ধর্মঘট, অসহযোগের মতো আন্দোলন কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছেন গণতন্ত্রপন্থীরা। দেশটির সেনা কর্তৃপক্ষ বলছে, এ আন্দোলন মিয়ানমারকে ধ্বংস করছে।