শাহীন খন্দকার: [২] স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী জাহিদ মালিক আরও বলেন, গরীব মানুষ গরীব থেকে গরীব হয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ১৮ টি স্বাস্থ্য বিধিসহ অন্যান্য নিয়ম মেনে চললেই এই দুর্যোগ করোনা মহামারী পরিস্থিতি মোকাবেলা করা সম্ভব। বুধবার বিএসএমএমইউ আয়োজিত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে ডা. মিলন হলরুমে আয়োজিত জুম মিটিংয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস অনুষ্ঠানে যোগ নিয়ে একথা বলেন।
[৩] মন্ত্রী বলেন, বিশ্বের উন্নত অনেক দেশ টিকা নিতে পারেনি, কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রী দেশের জনগণের জীবনের নিরাপওায় করোনা টিকা এনেছেন। যা বর্তমানে চলমান রয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের ভ্যাকসিনের অভাব নেই পর্ষাপ্ত সরবরাহ আছে। আমরা চেস্টা করছি করোনা চিকিৎসা সেবা দেওয়ার। ইতিমধ্যে উত্তর সিটি কর্পোরেশনে মহাখালী আইসোলেশন সেন্টার ২০০ শয্যার আইসিইউসহ ৯ শত শয্যার হাসপাতাল করা হচ্ছে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি।
[৪] মন্ত্রী বলেন, প্রতিটি জেলা হাসপাতালকে অক্সিজেনের আওতায় আনা হয়েছে। তিনি নিজ নিজ জেলাযরে জনগণকে চিকিৎসা নেওয়ার অনুরোধ করছি। এসময়ে তিনি আরও বলেন, ঢাকার হাসপাতালগুলোতে করোনারোগীতে ভরে গেছে। চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, করোনার পাশাপাশি অন্যান্য রোগীদের চিকিৎসা সেবায় বিশেষ নজর দিতে হবে। সেই সঙ্গে হার্ট কিডনি এবং ক্যান্সারের মতো দূরাগ্যরোগীদের চিকিৎসা ব্যহত না হয় সেদিকে চিকিৎসকদের নজর দিতে হবে।
[৫] মন্ত্রী ভ্যাকসিন নেওয়ার আগে ভ্যাকসিন টিকায় যেসব বিধিনিষেধ রয়েছে তা মেনে ডাক্তারের পরামর্শে পরীক্ষা করে টিকা নেওয়ার আহ্বান জানান। বিএসএমএমইউ উপচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে আরো ২০টি আইসিইউ শয্যাসহ ১০টি অতিরিক্ত শয্যা সংযোগ হয়েছে। এসময়ে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. সাংগে ওয়াংমো, মেডিকেল শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ আলী নূর, স্বাস্থ্য বিভাগের সচিব মোঃ লোকমান হোসেন মিয়া প্রমুখ।