শিরোনাম
◈ সরকারি দপ্তরগুলোতে গাড়ি কেনা ও বিদেশ সফরে কড়াকড়ি: কৃচ্ছ্রনীতির অংশ হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা ◈ ২১ বছর বয়স হলেই স্টার্ট-আপ লোনের সুযোগ, সুদ মাত্র ৪%: বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা ◈ ঢাকায় একটি চায়না টাউন প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে: আশিক চৌধুরী ◈ তিন বোর্ডে বৃহস্পতিবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত ◈ এসএসসির ফল নিয়ে যে বার্তা দিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা ◈ সৈক‌তের কা‌ছে দু:খ প্রকাশ ক‌রে‌ছেন ‌বি‌সি‌বির প্রধান নির্বাচক  ◈ ভারত সরকারকে আম উপহার পাঠাল বাংলাদেশ ◈ পুলিশের ঊর্ধ্বতন ১৬ কর্মকর্তা বদলি ◈ কল রেকর্ড ট্রেলার মাত্র, অনেক কিছু এখনো বাকি, অপেক্ষায় থাকুন: তাজুল ইসলাম ◈ জাতীয় নির্বাচনের সব প্রস্তুতি ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা : প্রেস সচিব

প্রকাশিত : ০৪ এপ্রিল, ২০২১, ১১:৪২ রাত
আপডেট : ০৪ এপ্রিল, ২০২১, ১১:৪২ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মোহাম্মদ মাইনুল ইসলাম: “লকডাউন, প্রজ্ঞাপন ও উন্নয়ন”

মোহাম্মদ মাইনুল ইসলাম: লকডাউনের শুরুতেই কী করবো? ভাবছি- ‘করোনা যুদ্ধে সরকারী প্রজ্ঞাপনের প্রভাব ও দ্বিমুখীতা’ নিয়ে একটি লেখা লিখবো। কারণ- লকডাউনের প্রজ্ঞাপন পরবর্তী অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে করোনা রাজধানী থেকে ঢাকার বাইরে আনন্দের সাথে বেড়াতে যাচ্ছে। কোন স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা নেই। সরকারের ১৮ দফার কোন প্রভাব আমি গতকাল সকাল-বিকাল নরসিংদীতে থেকে দেখে এসেছি। ঢাকার বাইরে মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানছে বলে মনে হলো না। যারাও আবার মানছে তাঁরা যেন বেশ মাইনোরিটি। এদিকে দেখতে পাচ্ছি- বইমেলা খোলা রেখে এক সপ্তাহব্যাপী লকডাউনের প্রজ্ঞাপন। এ যেন পুরোপুরিই দ্বিমুখী আচরণের বহিঃপ্রকাশ। এ ধরণের সিদ্ধান্ত জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকী হিসাবেই বিবেচিত হবে। মনে পড়ছে ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখ অর্থাৎ ১ মাস ২৪ দিন আগের কথা। দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বাহাদুর কী গর্ব করেই না বলেছেন- ‘আমরা করোনার বিরুদ্ধে বিজয়ী হয়েছি’। অনেকে সমালোচনা করলেও বাংলাদেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা নাকি শক্তিশালী তাই প্রমান করে। আমেরিকার অবস্থার সাথে তুলনা করতে বলেছিলেন। আমি সেদিন হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের বল রুমে- ‘বাংলাদেশ এডলোসেন্ট হেলথ এন্ড ওয়েলবিং সার্ভে ২০১৯-২০২০’-এর ডিসেমিনেশন সেমিনারে। আমন্ত্রিত হয়েই সেখানে গিয়েছিলাম। মন্ত্রী বাহাদুর এলেন নির্ধারিত সময়ের অনেক পর। আগত অতিথিরা এসে বসে আছেন। এক ঘন্টা সময় চলে গেছে। অথচ তিনি এখনও আসেন নি। আসবেন কিভাবে- সারা দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা তিনি তো এক হাতে সামলাচ্ছেন! কত না পরিশ্রম করছেন! আম জনতারা বসে থাকবে- এটাই তো স্বাভাবিক। দেরী হয়েছে ফলে কোন প্রকার দুঃখ প্রকাশ করার মতো কোন বদান্যতাও নেই। আমাদের যে উন্নয়ন হচ্ছে সেখানে কী আচরণের উন্নয়ন হচ্ছে? নীতি নৈতিকতার উন্নয়ন কী হচ্ছে? এগুলো কী উন্নয়ন নয়? খারাপ লাগে যখন দেখি- বিশ্বমণ্ডলের কোন সভাতেও থাকেন অনুপস্থিত। এটি কোন অভিযোগ নয়- এক ধরণের আফসোস আর কী। গত ১২ মার্চ ২০২১ তারিখে বাংলাদেশ সময় রাত ৭ টায় সোয়া এক ঘন্টা ব্যাপী ছিল ‘গ্লোবাল হাই-লেভেল ইন্টার মিনিস্টারিয়াল ডায়ালগ অন সান প্রেফারেন্স এন্ড জেন্ডার বায়াসড সিলেকশন’ যা জাতিসংঘ নিউইয়র্ক থেকে সরাসরি ছিল সম্প্রচার। অনুষ্ঠানটি স্পন্সর করে জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ), ইউরোপিয়ান কমিশন এবং নরওয়ে সরকার। বিষয়গত গুরুত্বের বিচারে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রী মরডারেটেট ডায়ালগ প্যানেল সেশনের একজন প্যানেলিস্ট। এ রকম গুরুত্বপূর্ণ একটি সভায় দেশের- সরকারের নীতি-কৌশলের ভালো দিকগুলো আন্তর্জাতিক কমিউনিটির কাছে তুলে ধরার ছিল মোক্ষম সুযোগ। মন্ত্রী বাহাদুরের কথা শুনবো বলে- অপেক্ষা করছি। কিন্তু অনুষ্ঠান উপস্থাপক প্যানেল আলোচনা শুরু হলে জানালেন তিনি যোগ দিতে পারছেন না। শুনে মনটা একটু খারাপই হলো। ভাবলাম- হয়তো তিনি অসুস্থ বা বা এর চেয়ে কোন গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যস্ত আছেন। আবার ভাবলাম- যদি তিনি নাই পারবেন তবে সন্মতিই বা দেন কেন? অনুষ্ঠান শেষে ব্যক্তিগত আগ্রহে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি- মন্ত্রী বাহাদুর গ্রামের বাড়িতে গেছেন- সেখান থেকে ইন্টারনেটে সংযুক্ত হতে পারছেন না। ডিজিটাল বাংলাদেশের এমন হলে কেমন হবে- উন্নয়ন? এ কথা লেখার জন্য আবার কোন ঝামেলায় জড়িয়ে যাই কী না কে জানে? হে আল্লাহ, করোনা ও সকল ধরনের ঝামেলা থেকে রক্ষা করো। আর যারা উন্নয়ন উন্নয়ন নিয়ে বেশী ঝিকির করেন তাঁদের জীবনের গুণগত উন্নয়ন ও অধিকার রক্ষার উন্নয়নকে বোঝার তৌফিক দান করো।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়