মনিরুল ইসলাম: [২] সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলতি একাদশ জাতীয় সংসদের দ্বাদশ অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে দেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।
[৩] তিনি আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে বলেই আজ দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এজন্য জনগনকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা ক্ষমতায় এসে সবসময়ই জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করি। বাংলাদেশ আজ অর্থনৈতিক দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে।
[৩] তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস প্রার্দভাব বেড়ে যাওয়ায় এক সপ্তাহের জন্য লক ডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। সকাল ১১টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত সংসদের অধিবেশন শুরু হয়।
[৪] ৪ এদিকে, দ্বাদশ অধিবেশনের প্রথম কার্যদিবস ছিলো ১ এপ্রিল। ৩ এপ্রিল ছিলো দ্বিতীয় অধিবেশন। গতকাল এ অধিবেশনে ৩টি বিল উত্থাপিত হয়েছে। আজ ৪ এপ্রিল তৃতীয় কার্যদিবস। আজই বর্তমান অধিবেশন সমাপ্তি হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের সিনিয়র সহকারী সচিব ওয়ারেছ হোসেন।
[৫] করোনাকালীন সময়ে অন্য অধিবেশনগুলোর মতো এবারও কড়াকড়ি ভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সংসদ চলছে । করোনা নেগেটিভ সংসদ সদস্যরাই কেবল অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন। অন্য অধিবেশনগুলোর মতো এবারও সংসদ সদস্যরা রুটিন অনুযায়ী বৈঠকে যোগ দিবেন বলে জানান চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী।
[৬] এদিকে, অধিবেশনের প্রথম দিন শোক প্রস্তাব গ্রহণের মধ্য দিয়েই শেষ হয়। সাধারণত চলমান সংসদের কোনও সংসদ সদস্য মারা গেলে সংসদে আনা শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনা শেষে সংসদের বৈঠক মুলতবির রেওয়াজ রয়েছে। চলতি সংসদের সংসদ সদস্য সিলেট-৩ আসনের মাহমুদুস সামাদ চৌধুরী (কয়েস) গত ১১ মার্চ মারা যান। তার ওপর এক শোক প্রস্তাব আনা হয়। শোক প্রস্তাবের ওপর প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বক্তব্য রাখেন।
[৭] সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা যায়, অধিবেশনে সংসদ সচিবালয় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়া অন্যদের সংসদে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। সংসদ ভবনে দর্শনার্থী এবং গণমাধ্যমকর্মীদের প্রবেশও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী অধিবেশন চলাকালে সংসদে দায়িত্ব পালন করবেন, তাদের থাকতে হবে করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট। এজন্য সংসদ সদস্য ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংসদের মেডিক্যাল সেন্টারের মাধ্যমে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়।
[৮] গত ১৫ মার্চ রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এ অধিবেশন আহ্বান করেন। এর আগে গত ২ ফেব্রুয়ারি শেষ হয় সংসদের একাদশ অধিবেশন। সংবিধান মতে, সংসদের দুটি অধিবেশনের মধ্যে ৬০ দিনের বেশি বিরতি থাকার সুযোগ নেই। যে কারণে এই দ্বাদশ অধিবেশন ডাকতে হয়েছে।