শিরোনাম
◈ ডিএমটিসিএল কর্মকর্তাদের দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস, রাতেই চালু হচ্ছে মেট্রো রেল, খুলে দেওয়া হয়েছে স্টেশন ◈ হাদিকে গুলি করা দুজনকে ‘শনাক্তের’ দাবি দ্য ডিসেন্টের ◈ ওসমান হাদিকে নেয়া হলো এভারকেয়ারে ◈ গণভোটে ‘হ্যা’ ভোট বেশি পড়লে কী হবে, যা জানাগেল ◈ ওসমান হাদিকে গুলি, হামলাকারীদের সম্পর্কে বেরিয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য ◈ ভাঙ্গায় মহাসড়কে কেয়ারটেকারকে বেঁধে ৪০ ড্রাম বিটুমিন ডাকাতি ◈ ভোটের অনিয়ম করতে আসলে হাতের কব্জি কেটে দেয়া হবে: খেলাফতের আকরাম আলী ◈ ঢাকা মেডিকেলে সেনা মোতায়েন ◈ হাদির মস্তিষ্কে গুলি লেগেছে, অপারেশন চলছে: ঢামেক পরিচালক ◈ নির্বাচনে প্রার্থীদের যোগ্যতা-অযোগ্যতা নির্ধারিত হবে যেভাবে

প্রকাশিত : ০২ এপ্রিল, ২০২১, ০৪:৫৯ সকাল
আপডেট : ০২ এপ্রিল, ২০২১, ০৪:৫৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

প্রভাষ আমিন: করোনায় ব্যক্তিগত নিরাপত্তাটা যেমন জরুরি, সামষ্টিক নিরাপত্তাটা তারচেয়ে বেশি জরুরি

প্রভাষ আমিন: সব নির্দেশনা ধরে ধরে ব্যাখ্যা করলে লেখার কলেবর বেড়ে যাবে। মোদ্দা কথা হলো, সরকারের যে নির্দেশনা তা কঠোরভাবে পালন করতে হবে।‘সীমিত করা’ ‘নিরুৎসাহিত করার মতো নরম সুরে কাজ হবে না। মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্যই আইনের কঠোর প্রয়োগ করতে হবে। লকডাউন তো বাংলাদেশে কখনও হয়নি, আবার সাধারণ ছুটিও হয়তো লাগবে না। যদি আমরা সরকারের নির্দেশনা অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলি। যারা মানবে না,ঝুঁকিটা শুধু তাদের নয়। করোনায় ব্যক্তিগত নিরাপত্তাটা যেমন জরুরি, সামষ্টিক নিরাপত্তাটা তারচেয়ে বেশি জরুরি। আপনি সব নিয়ম-কানুন মেনে চললেন, কিন্তু আপনার ড্রাইভার আপনার জন্য করোনাভাইরাস নিয়ে আসতে পারে। তাই সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। তবে শুরুটা করতে হবে, ব্যক্তি থেকেই আসবে সমষ্টি। কেউ যেন মাস্ক ছাড়া ঘর থেকে বের হতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে। ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’ থেকে এখন সময় এসেছে ‘নো মাস্ক, নো মুভমেন্ট’ নিশ্চিত করার।

যেখানে জনসমাগম, সেখানেই পুলিশি হস্তক্ষেপ করতে হবে। অফিসে অফিসে স্বাস্থ্যবিধি মানা নিশ্চিত করতে হবে। পাবলিক প্লেসে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে। নাহলে কিন্তু মুক্তি নেই। তাই সরকারের নির্দেশনা আরও পরিষ্কার করে ব্যাখ্যা করতে হবে। নির্দেশনা প্রতিপালনে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রয়োজনে অঞ্চলভিত্তিক লকডাউনের কথা বিবেচনায় রাখতে হবে। লুডু খেলা আপনারা সবাই জানেন। লুডুতে মই বেয়ে উপরে ওঠার সুযোগ যেমন আছে। আবার সাপের মুখে পড়লে পতনও অনিবার্য। গত বছর করোনা সংক্রমণ শুরুর দিকে নানা অব্যবস্থাপনা থাকলেও বাংলাদেশ দ্রুতই তা সামলে নেয়। শেষদিকে বরং করোনা নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের ভূমিকা প্রশংসিতই হয়েছে। কিন্তু কিছুটা খামখেয়ালিপনা, কিছুটা ঢিলেমিতে সে প্রশংসা এখন উবে গেছে। লুডু খেলার মতো নব্বইয়ের ঘরে গিয়ে আমরা সাপের মুখে পড়েছি। আমাদের আবার সবকিছু শূন্য থেকে শুরু করতে হবে। সতর্ক না থাকলে করোনার সাপ আবারও আমাদের সব অর্জন গিলে খেতে পারে। লেখক : হেড অব নিউজ, এটিএন নিউজ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়