প্রভাষ আমিন: সব নির্দেশনা ধরে ধরে ব্যাখ্যা করলে লেখার কলেবর বেড়ে যাবে। মোদ্দা কথা হলো, সরকারের যে নির্দেশনা তা কঠোরভাবে পালন করতে হবে।‘সীমিত করা’ ‘নিরুৎসাহিত করার মতো নরম সুরে কাজ হবে না। মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্যই আইনের কঠোর প্রয়োগ করতে হবে। লকডাউন তো বাংলাদেশে কখনও হয়নি, আবার সাধারণ ছুটিও হয়তো লাগবে না। যদি আমরা সরকারের নির্দেশনা অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলি। যারা মানবে না,ঝুঁকিটা শুধু তাদের নয়। করোনায় ব্যক্তিগত নিরাপত্তাটা যেমন জরুরি, সামষ্টিক নিরাপত্তাটা তারচেয়ে বেশি জরুরি। আপনি সব নিয়ম-কানুন মেনে চললেন, কিন্তু আপনার ড্রাইভার আপনার জন্য করোনাভাইরাস নিয়ে আসতে পারে। তাই সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। তবে শুরুটা করতে হবে, ব্যক্তি থেকেই আসবে সমষ্টি। কেউ যেন মাস্ক ছাড়া ঘর থেকে বের হতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে। ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’ থেকে এখন সময় এসেছে ‘নো মাস্ক, নো মুভমেন্ট’ নিশ্চিত করার।
যেখানে জনসমাগম, সেখানেই পুলিশি হস্তক্ষেপ করতে হবে। অফিসে অফিসে স্বাস্থ্যবিধি মানা নিশ্চিত করতে হবে। পাবলিক প্লেসে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে। নাহলে কিন্তু মুক্তি নেই। তাই সরকারের নির্দেশনা আরও পরিষ্কার করে ব্যাখ্যা করতে হবে। নির্দেশনা প্রতিপালনে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রয়োজনে অঞ্চলভিত্তিক লকডাউনের কথা বিবেচনায় রাখতে হবে। লুডু খেলা আপনারা সবাই জানেন। লুডুতে মই বেয়ে উপরে ওঠার সুযোগ যেমন আছে। আবার সাপের মুখে পড়লে পতনও অনিবার্য। গত বছর করোনা সংক্রমণ শুরুর দিকে নানা অব্যবস্থাপনা থাকলেও বাংলাদেশ দ্রুতই তা সামলে নেয়। শেষদিকে বরং করোনা নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের ভূমিকা প্রশংসিতই হয়েছে। কিন্তু কিছুটা খামখেয়ালিপনা, কিছুটা ঢিলেমিতে সে প্রশংসা এখন উবে গেছে। লুডু খেলার মতো নব্বইয়ের ঘরে গিয়ে আমরা সাপের মুখে পড়েছি। আমাদের আবার সবকিছু শূন্য থেকে শুরু করতে হবে। সতর্ক না থাকলে করোনার সাপ আবারও আমাদের সব অর্জন গিলে খেতে পারে। লেখক : হেড অব নিউজ, এটিএন নিউজ
আপনার মতামত লিখুন :