চৌধুরী হারুন: [২] রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে সহকর্মীর গুলিতে জেএসএস এমএন লারমা দলের স্বশস্ত্র কমান্ডার বিশ্ব চাকমা ওরফে যুদ্ধ নিহত হয়েছে।
[৩] মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াই টার সময় বাঘাইছড়ির বাবুপাড়া এলাকায় সশস্ত্র অসস্থায় দায়িত্ব পালন করলে এই ঘটনা ঘটে।
[৪] হত্যাকাণ্ডের পর সহকর্মী সুজন চাকমা অত্যাধুনিক একটি এম ফোর রাইফেল ও একটি একে-৪৭ রাইফেল নিয়ে পালিয়ে গেছে।
[৫] বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিশ^ চাকমার লাশ উদ্ধার করেছে।
[৬] জেএসএস এমএন লামার দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটার সময় বাঘাইছড়ির বাবুপাড়া এলাকায় সশস্ত্র অবস্থায় দায়িত্ব পালনের সময় সামরিক কমান্ডার বিশ^ চাকমা ওরফে যুদ্ধ চাকমাকে কাছে থেকেই দায়িত্বপালনরত সুজন চাকমা গুলি করে হত্যা করে। শব্দ শুনে ঘটনাস্থলে এসে বিশ^ চাকমার লাশ দেখতে পায়। তার সাথে দায়িত্বে থাকা সুজন চাকমাকে দেখতে পায়নি।
[৭] তারা আরো জানান, ঘাতক সুজন চাকমা যুদ্ধকে হত্যা করে তার সাথে থাকা একটি অত্যাধুনিক এম ফোর রাইফেল ও একটি একে-৪৭ রাইফেল নিয়ে পালিয়ে গেলে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
[৮] এদিকে এই ঘটনার পরপরই নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। এবং ভোরের দিকে বাঘাইছড়ির থানার পুলিশ সদস্যরা নিহতের লাশ উদ্ধার করে।
[৯] সংস্কারপন্থী জেএসএস এর দলীয় দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, নিহত যুদ্ধ চাকমা বিগত চার বছর আগে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জেএসএস থেকে অস্ত্র নিয়ে পালিয়ে এসে সংস্কারপন্থী জেএসএস এমএন লারমা দলে যোগদান করে। পরবর্তীতে তাকে সংগঠনটির বাবু পাড়া এলাকার সামরিক কমান্ডারের দায়িত্ব দেওয়া হয়। প্রতিদিন রাতে তার নেতৃত্বেই এলাকায় সামরিক টহল দিতো একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী। তারই ধারাবাহিকতায় বুধবার রাতে সশস্ত্র অবস্থায় ডিউটিতে থাকাকালীন সময়ে তার সাথে থাকা ছদ্মবেশি সহকর্মী সুজন চাকমা গভীর রাত আড়াইটার সময় গুলি করে যুদ্ধ চাকমাকে হত্যা করে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ