শিরোনাম
◈ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২য় উচ্চতর গ্রেডে আইনি ছাড় ◈ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করেছে মালয়েশিয়া ◈ শান্তির হ্যাটট্রিক, ভুটানকে সহ‌জেই হারা‌লো বাংলাদেশের মে‌য়েরা ◈ মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ ◈ ১৬ই জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ রহস্যময় নাকামোতো এখন বিশ্বের ১২তম ধনী, বিটকয়েন সম্পদ ১২৮ বিলিয়ন ডলার ◈ শাহবাগ মোড় অবরোধ করলো স্বেচ্ছাসেবক দল ◈ বিএসবির খায়রুল বাশারকে আদালত প্রাঙ্গণে ডিম নিক্ষেপ, কিল-ঘুষি ◈ গণপ্রতিরোধের মুখে শেখ হাসিনা পালাতে বাধ্য হয়েছিলেন: ভোলায় নাহিদ ইসলাম  ◈ গৌরনদীতে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বদলি আদেশ ঘিরে অবরোধ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৩

প্রকাশিত : ৩১ মার্চ, ২০২১, ০৪:৫৩ সকাল
আপডেট : ৩১ মার্চ, ২০২১, ০৪:৫৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মো. গোলাম সরোয়ার:  এগুলো চলে দেশের গোটা দশেক মাদ্রাসার গোটা ত্রিশেক মুরুব্বির ইশারায়

মো. গোলাম সরোয়ার: বাহ্মণবাড়িয়াতে হেফাজত যা করেছে তা বিএনপি করলে এতোক্ষণে গ্রেপ্তার হতো বাহ্মণবাড়িয়াতে অন্তত এক হাজার, আর সারাদেশে এক লাখের উপরে। কারণ এটি ছিলো সরাসরি রাষ্ট্রের উপরে আঘাত। অন্যদিকে ভাস্কর্য ইস্যুতে হেফাজত যা বলেছে এবং যা করেছে, তা বিএনপি করলে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলার রায় এতোদিনে বের হয়ে পড়তো, আর খালেদা জিয়ার দুই আঙ্গুলের মাঝে ইকোনো কলম রেখে চৌদ্দবার চাপ দেওয়া হতো। কিন্তু হেফাজতের ক্ষেত্রে এসব কিছুই হয়নি। আমরা যাই বলিনা কেন, সারাদেশে আঠারো কোটি মানুষের ভিতরে বিএনপির সমর্থক কম করে হলেও আছে ছেলে বুড়ো মিলে নয় কোটির কাছাকাছি। কিন্তু হেফাজতের সমর্থক লাখ বিশেকও হবে না। বিএনপিকে শায়েস্তা করা কঠিন হওয়ার কথা ছিলো। কারণ সারাদেশেই তাদের একটা সাংগঠনিক ভিত্তি আছে, আছে নেতাকর্মী। হেফাজতের ঐরকম কিছুই নেই। এগুলো চলে দেশের গোটা দশেক মাদ্রাসার গোটা ত্রিশেক মুরুব্বির ইশারায়। এতিম বাচ্চারা এসব মুরুব্বিদের কথায় চলে। চলতে হয়।

কারণ তাদের তিনবেলা খাওয়ারের ব্যবস্থা করে ঐসব মুরুব্বিরা। ওই ত্রিশজন মুরুব্বিকে কয়েদ করে মাদ্রাসাগুলো বন্ধ করে দিলে সারাদেশের হেফাজতকে কিছুদিন পরে খুঁজেও পাওয়া যাবে না। কারণ মানুষ টানা দুইদিন না খেয়ে লাফালাফি করার ক্ষমতা রাখে না।  এতোকিছুর পরেও হেফাজত যথাযথভাবে টিকে আছে। এর কারণ কি, যদি তা আপনি এখনো না বুঝে থাকেন, তবে আপনি হেফাজতের বিরুদ্ধে টানা দশদিন কড়াভাষায় সত্য কথা লিখে যান। আপনার দরজায় আইসিটি অ্যাক্টের মামলা কড়া নাড়বে। এর মানে কি? মানে হলো, দেশে যা কিছু ঘটছে সবই রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণের ভিতরে আছে। বাঁশেরকেল্লার শিবিরগুলা এসব না বুঝে হেফাজতের চক্করে মাথা দেয়। গোল ঘুরন্তি পাঞ্জাবী বানিয়ে, কেয়ামি বেকেয়ামি সেজে তারা হেফাজতের সাজ নিয়ে নাশকতা করে। তারপর ধরা খায়। এটা সরকারের এবং হেফাজতের একটি ফাঁদ। তবে শেষ কথা হলো, হেফাজত আর সরকার একেবারে একাকারও নয়।

কোনো রিজিমকে নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হলে নানান সময়ে নানান কিসিমের তরিকা এস্তেমাল করতে হয়। সময় মতো তাদের আবার ছুঁড়েও ফেলে দিতে হয়। আওয়ামী লীগ জানে কাকে কখন ঝুলাতে হয়। যারা অতি আশাবাদী হয়ে উঠেন বাচ্চা ছেলেদের হাতে ঠেঙ্গা আন্দোলন দেখলে, তাদের জন্যে এই বার্তা। আবার যারা হেফাজতের অতিরিক্ত আস্ফালন দেখে অস্থির হয়ে উঠেন, তাদের জন্যেও এই বার্তা। এই বার্তাতে রিলাক্স হওয়ার বটিকা আছে। সুতরাং রিলাক্স হোন। সবকিছু রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে আছে। এতোকিছুর পরেও যারা বুঝবেন না, তাদের জন্যে আছে শেষ বার্তা। বুঝলে বুঝ, না বুঝলে তরমুজ। ফেসবুক থেকে, মামুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়