শিরোনাম
◈ বাংলাদেশি কোম্পানির বিদেশে বিনিয়োগ ১৮ দেশে, স্থিতি ৩৫ কোটি ডলার ◈ ‘সুসম্পর্কই লক্ষ্য’ — বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি বার্তা দিলেন রাজনাথ সিং ◈ অভ্যুত্থানে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কিছু সদস্যের ভুল ছিল: হিন্দুস্তান টাইমসকে হাসিনা ◈ বিড়াল হত্যাকারী সেই নারী গ্রেপ্তার ◈ ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন হওয়া জরুরি: জামায়াত আমির ◈ ৫ আগস্টের পর ছাত্ররা ভুল করেছে, নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা যাবে ভারতের হাতে: ফরহাদ মজহার ◈ মির্জা আজম বলেন, “সালামান তো বলল পাঠাবে, জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ও তো উল্টা টাকা চায় (অডিও) ◈ রিজভীর পা ছুঁয়ে সালাম করা ট্রাফিক সার্জেন্ট আরিফুল প্রত্যাহার ◈ বাংলাদেশ সীমান্তের পাশে তিন সেনা ঘাঁটি স্থাপন করেছে ভারত, সম্পর্কের প্রভাব নিয়ে নতুন প্রশ্ন ◈ সেনাপ্রধানকে নিয়ে অপপ্রচার, সতর্ক করল আইএসপিআর

প্রকাশিত : ৩১ মার্চ, ২০২১, ১২:৪১ রাত
আপডেট : ৩১ মার্চ, ২০২১, ১২:৪১ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘিরে শক্তিশালী ইয়াবা সিন্ডিকেট

কায়সার হামিদ মানিক: রোহিঙ্গা ক্যাম্পভিত্তিক শক্তিশালী হয়ে ওঠা ইয়াবা চোরাচালান চক্রটি বহাল তবিয়তে রয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্প গড়ে ওঠার পর ইয়াবা বিক্রি করে রোহিঙ্গাদের মধ্যে অনেকেই ফুলে-ফেঁপে উঠেছেন। অনেকে ক্যাম্পের পাশেই সরকারি জায়গা দখল করে নিজ খরচে আলিশান বাড়িও করেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সবশেষ সেনা নির্যাতনের মুখে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসার আগে সেখানে রোহিঙ্গাদের অনেকেই ছিলেন ‘ইয়াবা ডন’। সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আসার পর কিছুদিন চুপচাপ থাকলেও বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে তাদের সেই সিন্ডিকেট ফের সক্রিয় হয়ে ওঠেছে।

এ নিয়ে ক্যাম্পের কয়েকজন রোহিঙ্গার সঙ্গে এ প্রতিবেদকের কথা হয়। তারা জানান, উখিয়ার বিভিন্ন ক্যাম্পে এ চক্রের সঙ্গে জড়িত অন্তত সহস্রাধিক রোহিঙ্গা রয়েছেন। তাদের সঙ্গে মিয়ানমারের রাখাইন সম্প্রদায়ের যোগাযোগ রয়েছে। সূত্রটি বলছে, মিয়ানমার থেকে রাতের আঁধারে ইয়াবা ও মাদকের চালান সীমান্তের কাঁটাতারের পার্শ্বে বয়ে নিয়ে আসে সিন্ডিকেটের সদস্যরা। পরে বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গারা সীমান্ত থেকে মাদকের চালান বয়ে নিয়ে আসে। এভাবে প্রতিনিয়ত কোটি টাকার ইয়াবা ঢুকছে উখিয়ার বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। পরে ইয়াবার চালান সুযোগ বুঝে চিহ্নিত সিন্ডিকেট সদস্যরা দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করে দিচ্ছে। তবে সিন্ডিকেটের গডফাদাররা থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।

জানা গেছে, কুতুপালং লম্বাশিয়া ব্লক-c ক্যাম্পের ফুটবল খেলার মাঠের পাশে ইলিয়াছের ছেলে আলেকিন গ্রুপের সক্রিয় সদস্য ইয়াবার গডফাদার মাষ্টার সফি আলম নামের এক রোহিঙ্গা যুবকের সঙ্গে গভীর সখ্য রয়েছে মিয়ানমারের রাখাইন যুবকদের। এই মাষ্টার সফি আলমের বিরুদ্ধেও ইয়াবা চোরাচালানের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে।

কথা হয় সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের উখিয়ার আহ্বায়ক সাংবাদিক নুর মোহাম্মদ সিকদারের সঙ্গে। তিনি বলেন, মনে করেছিলাম মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা চলে আসার পর ইয়াবা পাচার কিছুটা কমবে, কিন্তু এখন যেন তার মাত্রা বেড়ে গেছে। এ নিয়ে উখিয়ার সচেতন মহল উদ্বিগ্ন। আমরা বলছি, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা না হলে ইয়াবা, মাদক, অস্ত্রসহ নানা অনৈতিক কাজ বন্ধ করা সম্ভব হবে না।

জানতে চাইলে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আহম্মদ সনজুর মোরশেদ বলেন, ইয়াবা ও মাদকের ব্যাপারে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। তথ্যপ্রমাণসহ ইয়াবা সম্পৃক্ততার অভিযোগ পেলে ছোট হোক আর বড় হোক কোনো ইয়াবা ব্যবসায়ীকে ছাড় দেয়া হবে না বলে এ প্রতিবেদককে জানান।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়