আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২] ১৯৭১ সালে জন্মের পর থেকেই বাংলাদেশ পরিচিত ছিলো আন্তর্জাতিক তলাহীন ঝুড়ি হিসেবে। বাংলাদেশ নির্ভরশীল ছিলো আন্তর্জাতিক সহায়তার উপর। পরিচিত ছিলো দূর্যোগপ্রবণ, সম্পদহীন, যুদ্ধ বিদ্ধস্ত, দারিদ্রপীড়িত, অশিক্ষিত জনগোষ্ঠীর চাপে জর্জরিত, মৌলিক অধিকার পূরণে অক্ষম একটি দেশ হিসেবে। সাউথ এশিয়া ডট কম
[৩] বিশ্বব্যাংক বলছে, ১৯৯০ সালে বাংলাদেশের মোট জাতীয় আয় ছিলো মাত্র ৩১.৬ বিলিয়ন ডলার। ২০১০ সালে তা দাঁড়ায় ১১৫.৩ বিলিয়ন ডলার আর ২০১৯ সালে ৩০২.৬ বিলিয়ন ডলার। এসময় মাথাপিছু আয় যথাক্রমে ছিলো ৩০৬ ডলার, ৭৮১ ডলার ও ১৮৫৫ ডলার। দক্ষিণ এশিয়ার রুগ্ন দেশটি এখন শরীর জুড়ে পেশীর সমোরহ নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
[৪] প্রচলিত আছে, জিডিপি সবসময় সত্য বলে না। তবে বিশ্ব ব্যাংকের অন্য ডাটাগুলোও বাংলাদেশের পক্ষেই কথা বলছে। ২০০০ সালে দারিদ্রের হার যেখানে ছিলো ৪৮.৯ শতাংশ, ২০১৬ সালে ছিলো ২৪.৫ শতাংশ। আর ২০২০ সালে তা ২০ এর নিচে নেমে গেছে। ১৯৭৫ সালে আয়ুস্কাল ছিলো ৪৮.৩১ বছর, ২০১৮ সালে তা দাঁড়ায় ৭২.৩ বছর। ১৯৮১ সালে স্বাক্ষরতার হার ছিলো ২৯.২৩ শতাংশ আর ২০১৯ সালে ৭৪.৬১ শতাংশ। ৮৫ শতাংশ শিশুই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যায়, উচ্চবিদ্যালয়ে যায় ৬২ শতাংশ। দুই ক্ষেত্রেই বালকের চেয়ে বালিকা বেশি।
[৫] ১৯৭৮ সালে ফ্রান্সে ১০ হাজার শার্ট রপ্তানির মাধ্যমে যে তৈরি পোষাক শিল্পের যাত্রা শুরু তা আজ বিশ্বে ২য় বৃহত্তম। আমদানি নির্ভর দেশটি আজ পুরোপুরি রপ্তানি নির্ভর।
[৬] বাংলাদেশের সামনে অবশ্যই চ্যালেহ্জ আছে। শক্তিশালী অবস্থান ধরে রাখতে শক্তিশালী গণতন্ত্রের বিকল্প নেই। বাংলাদেশকে এখন এইদিকেই মনোনিবেশ করতে হবে। তাহলে পরের ৫০ বছরে সমৃদ্ধি আকাশ স্পর্শ করবে।
আপনার মতামত লিখুন :