তাহমীদ রহমান: [২] স্থানীয় এক কর্মকর্তা বলেন, সরকারি নীতির আলোকেই কারেন শরণার্থীদের জন্য এ ব্যবস্থা করা হয়েছে। রয়টার্স, দ্যা গার্ডিয়ান
[৩] সোমবার মিয়ানমারের সংস্থা ফ্রি বার্মা রেঞ্জার্সর প্রতিষ্ঠাতা দাবি করেন, থাইল্যান্ডে পালিয়ে যাওয়া প্রায় ২০০৯ জন শরণার্থীকে স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে সীমান্তে মিয়ানমারের দিকে ই থু হতা শরণার্থী ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
[৪] গ্রামবাসীর ধারণ করা ভিডিওতে দেখা যায় থাই সেনাদের নজরদারিতে শরণার্থীরা নৌকায় উঠছেন। ভিডিওতে এক ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, দেখুন থাইল্যান্ডের সেনারা গ্রামবাসীদের ফিরে যেতে বলছেন। বয়স্ক মানুষদেরও ফিরে যতে হবে বলছে। এখানে অনেক থাই সেনা।
[৫] মানবাধিকার সংস্থা এবং ইউরোপীয় ক্যারেন নেটওয়ার্ক নামে একটি বিদেশী সহায়তা গ্রুপ থাই সরকারের সমালোচনা করেছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের থাইল্যান্ডের সিনিয়র গবেষক সুনাই ফাসুক বলেন, থাইল্যান্ডের হৃদয়হীন এবং অবৈধ কাজ এখনই বন্ধ করা উচিত।
[৬] থাই প্রধানমন্ত্রী প্রয়ূথ চ্যান ওচা সোমবার এর আগে বলেছিলেন যে, শরণার্থীদের মেনে নিতে সরকার প্রস্তুত ছিল এবং থাইল্যান্ড মিয়ানমারের জান্তা সমর্থন করছে না।
[৭] গত শনিবার মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী দিবসে সেনাবাহিনীর গুলিতে দেশটির গণতন্ত্রপন্থি ১১৪ বিক্ষোভকারী নিহত হয়। যার প্রতিশোধ নিতে ওই দিন একটি সেনাপোস্টে হামলা চালিয়ে এক কর্নেলসহ ১০ সেনাসদস্যকে হত্যা করার দাবি করে সশস্ত্র গোষ্ঠী কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন।
[৮] বিমান হামলা শুরু হলে কারেন গ্রামের তিন হাজারের বেশি বাসিন্দা বাড়িঘর ছেড়ে প্রথমে জঙ্গলে এবং সেখান থেকে সীমান্ত পেরিয়ে থাইল্যান্ডে আশ্রয় নেয়। থাই কর্তৃপক্ষ রোববার মিয়ানমারের তিন হাজারের বেশি শরণার্থী তাদের ভূখণ্ডে পৌঁছানোর কথা নিশ্চিত করে। সম্পাদনা : রাশিদ
আপনার মতামত লিখুন :