আতাহার আলী: [২] রাজশাহীর বাঘার পদ্মার চরাঞ্চলে গত ২৪ মে মার্চ প্রকাশ্যে গুলি করে ইব্রাহিম (৩৫) কে হত্যা করা হয়। ওই মামলার ২ নং আসামী দিলা ব্যাপারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (২৯ মার্চ) ভোর রাতে কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা উপজেলার তেরখাদিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

[৩] থানা সূত্রে জানা গেছে, বাঘার পদ্মার চরাঞ্চলে চৌমাদিয়া বাজারে চায়ের দোকান থেকে রাত ০৯ টার দিকে তুলে নিয়ে যায়,রশিদ ব্রাপারীসহ ১০/১২ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী এবং রেজা খালীর বাড়ী সংলগ্নে কুপিয়ে ও প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে ইব্রাহিম নামে এক যুবককে আর মোশারফ নামের অপরজন পালিয়ে বেচে যায়। পৃথক দু’ মামলার ২ নং আসামী দিলা ব্যাপারীকে সোমবার ভোর রাতে কুষ্টিয়া জেলার ভেরামারা উপজেলার তের খাদিয়া এলাকা থেকে গ্রেপতার করে পুলিশ।

[৪] উল্লেখ্য, বাঘা উপজেলার চৌমাদিয়া চরাঞ্চলে দিদার ব্যাপারীর গম ক্ষেতের পার্শ্বে মজনু দর্জির কলার বাগান রয়েছে। ওই বাগানে গত ২৬ ফেব্রুয়ারী সকালে দিদার ব্যাপারী তার লোকজন নিয়ে জমির আগাছা দমনের লক্ষে আগুন দেয়। এতে পার্শ্ববর্তী মজনু ব্যাপারীর কলার বাগানে আগুন ছড়িয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়।।

[৫] এ ঘটনায় মজনু দর্জির লোকজন দিদার ব্যাপারীর কাছে জানতে গেলে কথা কাটা-কাটির এক পর্যায়ে দিদার ব্যাপারীর লোক-জন তাদের উপর হামলা এবং গুলিবর্ষণ করে। এতে লিটন (২৯), আব্দুর রাজ্জাক (৩৩) মরিয়ম বেগম (৪৫) ও দুলাল ব্যাপরী গুলিবিদ্ধ হয়। একই সাথে হাসুয়ার কোপ খেয়ে আহত হন ইদ্রিশ আলী (৩০) ইয়াদ আলীদর্জি (৪২) এবং ইব্রাহিম (২৮)।

[৬] এ ঘটনায় ঐদিন সন্ধ্যায় বাঘা থানায় ১৭ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন আহত ইয়ার হোসেনের বড় ভাই আব্দুর রহমান মেম্বর। এ মামলায় পুলিশ আব্দুর রশিদ নামে একজন আসামীর বাড়ী থেকে ১২ বোতল ফেন্সিডিল জব্দ এবং বিজিবি পরিহিত এক সেট পোশাক উদ্ধারসহ ৩ জনকে আটক করেন।

[৭] আটককৃতরা হলো, চরাঞ্চলের চৌমাদিয়া গ্রামের হাকিম ব্যাপারীর ছেলে আলাউদ্দিন (২৩) আব্দুল জলিল ব্যাপারির ছেলে আসাদ ব্যাপারী (৪০) ও রশিদ আলীর স্ত্রী রুবি আক্তার (২৭)।

[৮] বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তদন্ত আব্দুল বারী জানান, পৃথক ঘটনায় দু’টি মামলা হয়েছে। প্রথম ঘটনায় আব্দুর রশিদ নামে একজন ও ইব্রাহিম হত্যা মামলার ২ নং আসামী দিলা ব্যাপারীকে গ্রেফতার করা হয়। সম্পাদনা: সাদেক আলী